প্রতিদিনের ডেস্ক
বাংলাদেশ বুকওয়ার্ম অ্যাসোসিয়েশনের ৬ষ্ঠ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘লেখকের গল্প সিজন-২’ এর বিশেষ সাক্ষাৎকারের সাফল্য উদযাপন, ‘বইপড়া ও সাহিত্য কোন পথে’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশেষ অবদানের জন্য ৩০ জন লেখক, দেশের সক্রিয় ফেসবুক কমিউনিটি, সামাজিক সংগঠন, বইভিত্তিক সংগঠন, ইনফ্লুয়েন্সার, বুক-রিভিউয়ার ও সাহিত্যানুরাগীকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
সম্প্রতি রাজধানীর বাংলামোটরের ইস্কাটন রোডের লোক প্রশাসন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি ও বুদ্ধিজীবী ফয়েজ আলম বলেন, ‘আগে সাহিত্য জিম্মি হয়ে ছিল পত্রিকার সম্পাদক-সাহিত্য সম্পাদকদের হাতে। তারা ঠিক করতেন কাকে লেখক বানাবেন, কাকে বানাবেন না। এখন যে কোনো লেখক ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার লেখা সহজেই পড়ুয়াদের কাছে হাজির করতে পারছেন। এটা পুরাই একটা বিপ্লব। লেখকরা তাদের বাক-স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোশতাক আহমেদ বলেন, ‘প্রযুক্তির একটা ভালো দিক হলো বর্তমানে পিডিএফে বই পড়তে পারছে মানুষ এবং অডিও বুকও মানুষ সহজে শুনতে পারছে, এখানে প্রযুক্তির অবদান আছে।’
কবি মনদীপ ঘরাই বলেন, ‘বইয়ের জগতকে সমৃদ্ধ করতে আমরা অনেকেই অনেক ভাবে চেষ্টা করি। কিন্ত চেষ্টা করতে হবে সবাইকে একসঙ্গে একযোগে।’
বাংলাদেশ বুকওয়ার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী নাহিদ বাদশা বলেন, ‘শুধু জনপ্রিয় সাহিত্যিকরাই ভালো লেখেন আর বাকিরা লিখতে পারেন না এমন ট্রেন্ড প্রচলিত আছে আমাদের সোসাইটিতে। কিন্তু আমরা বেশ ভালো করেই জানি অজনপ্রিয় সাহিত্যিকরাও বেশ ভালো লেখেন। আর সেটাই বুকওয়ার্ম দীর্ঘদিন থেকে দেখানোর চেষ্টা করেছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শুনবইয়ের প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার হৃদয় এবং অনুষ্ঠানের টাইটেল স্পন্সর কেন্দ্রবিন্দুর প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক ওয়াহিদ তুষার। সুমন, সানজিদা সাফরিন, ফাহাদ হৃদয় ও রুহির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে আনন্দমুখর। প্রজেক্টরে স্লাইড প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ‘লেখকের গল্প সিজন-২’ ও ‘বুকওয়ার্ম উঠে আসার গল্প’ দেখানো হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি শফিকুল ইসলাম, লেখক জোহরা পারুল, গবেষক ইমরান মাহফুজ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক ও প্রকাশক নাহিদা আশরাফী, কবি পলিয়ার ওয়াহিদ, কথাসাহিত্যিক শফিক রিয়ানসহ বুক রিভিউয়ার, ইনফ্লুয়েন্সার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা।
বাংলাদেশ বুকওয়ার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন কো-ফাউন্ডার হাফিজুর রহমান মনি, সিনেমাটোগ্রাফার ও কো-ফাউন্ডার রেহান জিহাদ, চিফ অব কন্টেন্ট রাইটিং প্লাবন কুমার, নাইমুল ইসলাম, প্রান্ত, মানিক, রাতুল, মেহেদী হাসান মিলন প্রমুখ।
সবশেষে প্রহরী ব্যান্ডের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রুপ ছবি এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।