কুষ্টিয়া সংবাদদাতা
গত মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ঠান্ডা-জ্বর ও মাজা ব্যাথা নিয়ে রোহিনুর (২৮) নামে এক রোগী বর্হিবিভাগে ৭খ কক্ষে মেডিসিন ডাক্তার দেখান। ডাক্তার তার প্রেসক্রিপশন করেন এবং হাসপাতাল থেকে সরকারি ঔষধ সংগ্রহ করার জন্য চিরকুট লিখে দেন। পরে ঐ রোগী অসুস্থ শরীর নিয়ে হাসপাতালের ফার্মেসীতে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে ঔষধ সংগ্রহের প্রেসক্রিপশন ও চিরকুট জমা দেন। তখন দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট জান্নাতুন ফেরদৌস ঔষধ না দিয়ে উল্টো প্রশ্ন করেন এই প্রেসক্রিপশন কার? রোগী উত্তরে বলেন আমার। ফার্মাসিস্ট জান্নাতুন ফেরদৌস বলেন, ‘এই প্রেসক্রিপশন আপনার না, রোগীর কাছে থাকা আইডি কার্ড বের করে দেখান।’ এসময় রোগী বরেন, ‘আমি রোগী আমার প্রেসক্রিপশন ও আইডি কার্ডটি দয়া করে মিলেয়ে দেখেন।’ প্রেসক্রিপশন ও আইডি মিলিয়ে দেখার পরও তাকে ঔষধ না দিয়ে ফিরেয়ে দেন এবং ঔষধ বিতরন না করে প্রেসক্রিপশনে ঔষধ বিতরন সরবরাহের সিল বসিয়ে দেন। পরে রোগী ফার্মাসিস্টের কাছে জানতে চান তাকে ঔষধ কেনো দেয়া হবে না? এরপর ফার্মাসিস্ট জান্নাতুন ফেরদৌস রোগীর সাথে অশালীন আচারন করেন এবং ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এক পর্যায়ে ফার্মাসিস্ট জান্নাতুন ফেরদৌসেরে সাথে থাকা আরও কয়েকজন কর্মচারি অসুস্থ রোগীর উপর মারমুখী ক্ষিপ্ত আচারণ করেন। রোগী বের হয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের রুমে গিয়ে ডা: তাপস কুমার সরকারের কাছে বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানান। এ বিষয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: তাপস কুমার সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি রোগীর সাথে এমন আচারন ও ঔষধ না দিয়ে ঔষধ বিতরন সিল বসিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ, আমরা এর ব্যবস্থা গ্রহন করবো।’ ফার্মাসিস্ট জান্নাতুন ফেরদৌসের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও রোগীদের সাথে অশালীন আচারনের অভিযোগ রয়েছে।