২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

টানা দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির বর্ষসেরা সূর্যকুমার

প্রতিদিনের ডেস্ক
টানা দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হয়েছেন ভারতের ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। এর আগে ২০২২ সালে প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই নজির গড়েছিলেন সূর্যকুমার। বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে পুরুষ বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন চারজন। সূর্যর সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা, উগান্ডার বাঁ-হাতি স্পিনার আল্পেশ রামজানি এবং নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং অলরাউন্ডার মার্ক চ্যাপম্যান। টি-টোয়েন্টিতে রাজ করছেন সূর্যকুমার। ২০২২ সালের পর ২০২৩ সালেও ব্যাট হাতে ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ১৭ ইনিংসে ৪৮.৮৮ গড় ও ১৫৫.৯৬ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৭৩৩ রান। বছরের শেষ দিকে এসে ভারতকে নেতৃত্বও দেন। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেন বছরে নিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শতক। দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব পান তিনি। অন্যদিকে, বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা উগান্ডার ক্রিকেটার আল্পেশ রামজানি বিশ্বের সব দলের বড় নামগুলোকে টপকে গত বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছিলেন। ৩০ ম্যাচে ৪.৭৭ ইকোনমি রেটে বোলিং করে ৫৫টি উইকেট। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া উগান্ডার সাফল্যের নেপথ্যেও এই রামজানি। এ ছাড়া মনোনয়ন পেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজাও। দল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাদ পড়ে গেলেও রাজা ছিলেন অনবদ্য। ১১ ইনিংসে ৫১.৫০ গড় ও ১৫০.১৪ স্ট্রাইক রেটে ৫১৫ রান করেছেন। পাশাপাশি ১৪.৮৮ গড়ে ১৭ উইকেট নেন তিনি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ছিলেন ওয়ান ম্যান আর্মি হয়ে। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান চ্যাপম্যানের জন্যও বছরটা শুভই ছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজে করেন ২৯০ রান। সেখানে খেলেন ৫৭ বলে ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংস, যাতে সিরিজ ড্র করে নিউজিল্যান্ড। বছরে সব মিলিয়ে এ সংস্করণে ৫০.৫৪ গড়ে ৫৫৬ রান করতে তিনি ব্যাটিং করেছেন ১৪৫.৫৪ স্ট্রাইক রেটে।
একই দিনে গতকাল মেয়েদের বর্ষসেরা টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটারের নামও ঘোষণা করেছে আইসিসি। ২০২৩ সালের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস। সংক্ষিপ্ত তালিকায় হেইলি ম্যাথিউসের সঙ্গে আরও ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এলিস পেরি, ইংল্যান্ডের সোফি একলস্টোন ও শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু। ২০২৩ সালের সহযোগী দেশের সেরা ক্রিকেটারদের নামও ঘোষণা করেছে আইসিসি। মেয়েদের বিভাগে সেরা হয়েছেন কেনিয়ার কুইন্টর অ্যাবেল। সহযোগী দেশের সেরা পুরুষ খেলোয়াড় হয়েছেন নেদারল্যান্ডসের বাস ডি লিড।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়