১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

পুরোনো ল্যাপটপ-মোবাইল ফোন যেন সোনার খনি

প্রতিদিনের ডেস্ক
এমন এক খবর দেব, শুনলে চমকে যাবেন। আপনার রাতের ঘুমও নষ্ট হতে পারে। কেবলই আফসোস হতে পারে- আহা, কী করেছি আমি! নিজ হাতে পানির দামে বেচে দিলাম সোনার খনি! হ্যাঁ, আপনার পুরোনো অথবা নষ্ট হওয়া ল্যাপটপ, কিংবা মোবাইল ফোনের কথাই বলছি। পাড়ায়-মহল্লায় যখন আপনার ঘুম ভাঙে ভাঙ্গারিওয়ালাদের ‘নষ্ট ল্যাপটপ, নষ্ট সিপিও, নষ্ট মোবাইল থাকলে বিক্রি করতে পারেন’ চিৎকারে; তখনই আপনার সর্বনাশটা হয়ে যায়। আর যখন শুনবেন নামমাত্র দামে বেচে দেওয়া আপনার ও অন্যদের ওই ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল ফোনগুলো দিয়ে শত শত কেজি সোনা তৈরি হচ্ছে- তখন তো আপনার মাথায় হাত দিয়ে বসে যাওয়ারই কথা। হ্যাঁ, বিবিসি জানিয়েছে, এমনই এক পেটেন্ট আবিষ্কার করেছে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল মিন্ট নামের একটি কোম্পানি। তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে ইলেকট্রনিক বর্জ্য বেড়েই চলেছে। আর এ বিষয়টিকে কাজে লাগাতে এসব ই-বর্জ্যের ভেতরে লুকোনো মূল্যবান ধাতুগুলো বের করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে রয়্যাল মিন্ট। কার্ডিফের সাউথওয়েলসের কাছে এই কোম্পানিটির কারখানায় ৩০টিরও বেশি দেশের কয়েন তৈরির জন্য বিশ্ববিখ্যাত। দুই বছর ধরে তারা যুক্তরাজ্যের সরকারি মুদ্রা নির্মাতা। এই কোম্পানিরই রসায়ন বিশ্লেষকদের একটি দল কানাডিয়ান স্টার্ট-আপ এক্সিরের সঙ্গে এমন একটি পেটেন্ট আবিষ্কারের দাবি করেছেন- যার মাধ্যমে বাতিল হয়ে যাওয়া ল্যাপটপ, কম্পিউটারের অন্যান্য এক্সেসরিজ ও পুরোনো মোবাইল ফোনের ভেতরের সার্কিট বোর্ডগুলো থেকে ৯৯ শতাংশ সোনা বের করছেন তারা। তাদের এ প্রক্রিয়া পুরোদমে চালু হলে প্রতি বছর শত শত কিলোগ্রাম সোনা উৎপাদনে সক্ষম হবে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়