সোহাগ আলী, কালীগঞ্জ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শিশু শ্রেণীর লামিয়া (ছদ্দনাম) নামের এক ক্ষুদে শিক্ষার্থী তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক দ্বারা নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এমন অভিযোগে নির্যাতিত শিক্ষার্থীর পিতা জিল্লুর রহমান কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ।জানা গেছে ,উপজেলার ২ নং সুন্দরপুর দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা জিল্লুর রহমানের মেয়ে দূর্গাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর একজন ক্ষুদে শিক্ষার্থী ।সে ২৪ জানুয়ারী শ্রেণীকক্ষে পাট চলাকালীন সময়ে নিজ ব্যাগ থেকে পাঠ্যবই বের করতে দেরি করলে , পাঠদানকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ রতন (রতন বিশ্বাস) ওই শিক্ষার্থীর দুই কানের উপর থাকা চুল ধরে উচু করে রাখেন কিছুক্ষণ । একপর্যায়ে চুল ছিড়ে ওই শিক্ষার্থী মাটিতে পড়ে যায় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে ।এ ঘটনা জানার পর ওই শিক্ষার্থীর পিতা জিল্লুর রহমান ২৫ জানুয়ারী কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রাথমিক কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগের ব্যাপারে নির্যাতিত শিক্ষার্থীর পিতার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ওই শিশুর চাচা দাবি করা আকরাম হোসেন জানান ,ভাই মাঠের কাজে ব্যস্ত ।শিক্ষক কর্তৃক ক্ষুদে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান ,আমার ভাতিজিকে সামান্য কারণে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন রতন স্যার । আবার নির্যাতনের পর শিশুটির হাতে ৫ টাকা দিয়ে ওই শিক্ষক (রতন) বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য বলে ।আমরা আজ উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কাছে গিয়ে পারিবারিকভাবে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি । অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ রতন জানান,ওই মেয়েটাকে আমি অনেক স্নেহ করি ,মেয়েটাকে আদর করতে যেয়ে তার চুলে একটু টান লেগে এমনটা হয়েছে ।তাছাড়া সামাজিক দ্বন্দের কারণে আমার নামে এমন অভিযোগ করা হয়েছে । এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদ হাসানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান , একটি অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে এব্যাপারে কথা বলেছি। আগামী রবিবার আমি নিজে বিদ্যালয়টিতে যাব। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ তথ্য প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।