মাগুরা প্রতিনিধি
যে ঘরে সুখের স্বপ্ন, সেই ঘরই এখন দুরচিন্তার কারণ। ভেঙে গেছে বসতবাড়ি। ফাটল দেখা দিয়েছে ঘরের মেঝেতে। অসময়ে গড়াই নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে গঙ্গারাম খালী মালো পাড়া। নদী গর্ভে ভেঙে পড়ায় বসতবাড়ি। ভিটে মাটি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে সর্বশান্ত অসহায় বেশ কিছু মালো পরিবারগুলো।এভাবে বসতবাড়ি হারিয়ে কান্না জড়িত কণ্ঠে অসহায়ত্বের কথা বলছিলেন বাসন্তী মালো। তিনি বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে করুন পরিণতি নেমে এসেছে শ্রীপুর উপজেলার গঙ্গারাম খালী গ্রামের গড়াই নদীর তীরে বসবাস করা মালো পাড়ার বাসিন্দাদের ভাগ্যে। দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে নিলীন হয়ে যাবে পুরো মালো পাড়া। এক দিকে ভাঙছে বসতবাড়ি অন্য দিকে অসহায় পরিবাগুলোর আর্তনাদ। এক সময়ের যে ভিটেতে ছিল সোনার সংসার সেই ভিটে এখন নদী গর্ভে। বসত বাড়ি হারিয়ে চোখের জল ফেলছেন ৮০ বছরের সুবীর চক্রবর্তী। নদী গর্ভে ভেঙে গেছে তার সহায় সম্বল। মালো পাড়া বাসিন্দা বিদুৎ চক্রবর্তীসহ অন্যরা জানান, নদী ভাঙন রোধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আলিয়ার রহমান ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে নদী শাসন প্রকল্পের আওতায় জিও ব্যাগ দিয়ে গড়াই নদী পাড় ভরাট করা লক্ষ্যে বালু উত্তোলন শুরু করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এখনও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জানানো হয়, বাঁধের কাজে ব্যবহারের জন্য বালু উত্তোলন করায় নদীতে বসতবাড়ি ভেঙে পড়েছে। মাগুরার প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ডে ও নির্বাহী প্রকৌশলী সরোয়ার জাহান সুজন বলেন, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন করার কারণে এই ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। নতুন করে জিওবি ব্যাগ দিয়ে বাঁধা হবে। যারা ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন, তাদের ব্যাপারে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।