প্রতিদিনের ডেস্ক
বাংলাদেশের যাত্রাশিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে জ্যোৎস্না বিশ্বাসের নাম। তার নাম শুনলেই যাত্রার হারানো ঐতিহ্যের কথা মনে পড়ে। জ্যোৎস্না বিশ্বাস দেশের খ্যাতিমান যাত্রা ও মঞ্চশিল্পী। এ ছাড়াও তার অপর পরিচয় হলো, তিনি বিশিষ্ট যাত্রাশিল্পী অমলেন্দু বিশ্বাসের স্ত্রী এবং চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাসের মা। এবার এ যাত্রাশিল্পী ‘আনর্ত’ স্বীকৃতি পাচ্ছে। ‘আনর্ত’ থিয়েটারের ছোটকাগজ। এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়মিত বের হয়। এ পত্রিকাটি নিয়মিত নাট্যমেলার আয়োজন করে। এ মাসের ২৯-৩০শে জানুয়ারি দু’দিনব্যাপী নাট্যমেলার আয়োজন করেছে তারা। এ মেলাতে ২৯শে জানুয়ারি স্বীকৃতি গ্রহণ করবেন জ্যোৎস্না বিশ্বাস।
স্বীকৃতিস্বরূপ এ শিল্পীকে দেয়া হবে একটি সনদ, ক্রেস্ট ও নগদ ১০ হাজার টাকা। এর আগে জ্যোৎস্না বিশ্বাস একুশে পদক পান ২০১১ সালে। এ ছাড়াও তার স্বামী অমলেন্দু বিশ্বাসকে ১৯৮৯ সালে একুশে পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত করা হয়। স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়ে জ্যোৎস্না বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তার মেয়ে অরুণা বিশ্বাস বলেন, সকল স্বীকৃতি কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দেয়। ‘আনর্ত’ স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা অনেক আনন্দিত। আশাকরি এমন স্বীকৃতি দেশের নিভৃতচারী শিল্পীদের আরও দেয়া প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, এবার ‘আনর্ত’ স্বীকৃতি মোট তিনজনকে দেয়া হবে। থিয়েটারের প্রত্যক্ষ ও নেপথ্য ক্যাটাগরিতে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়। জ্যোৎস্না বিশ্বাস পেয়েছেন থিয়েটারের প্রত্যক্ষ শাখায়। অপর দুজন হলেন ড. বাবুল বিশ্বাস ও আবু তাহের। তারা পেয়েছেন নেপথ্য শাখায়।