২৫শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৯ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

অ্যান্ড্রয়েড থেকে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ অপসারণে করণীয়

প্রতিদিনের ডেস্ক
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে বিল্ট ইন অনেক অ্যাপ দেয়া থাকে। যেগুলো চাইলেও ব্যবহারকারীর পক্ষে মুছে ফেলা বা অপসারণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ডাউনলোড করা অ্যাপের মতো চাইলেও এগুলো আনইনস্টল করা যায় না। এসব অ্যাপ প্রথমত ডিভাইসের জায়গা নষ্ট করে এবং হোম স্ক্রিন ও অ্যাপ ড্রয়ারে অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন শর্টকার্ট তৈরি করে থাকে। এসব অ্যাপ কীভাবে অপসারণ করা যায়, সেসব বিষয়ে জানিয়েছে মেক ইউজ অব।
অ্যান্ড্রয়েডে যে সিস্টেম অ্যাপ থাকে সেগুলো জোরপূর্বক অপসারণ করা ডিভাইসের জন্য ক্ষতিকর বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা। তাই এসব টুল সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
অ্যান্ড্রয়েডে স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপ অপসারণ: অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে থাকা অনেক অ্যাপ সহজেই আনইনস্টল করা যায়। এজন্য কোনো অ্যাপ আইকন লম্বা সময় চেপে ধরে রাখলে আনইনস্টলের অপশন পাওয়া যাবে। সেটিতে ক্লিক করলে অ্যাপ মুছে যাবে। যদি সেভাবে কাজ না হয় তাহলে সেটিংস থেকে অল অ্যাপসে প্রবেশ করে নির্ধারিত অ্যাপ নির্বাচন করে আনইনস্টল করতে হবে। কোম্পানি ভেদে এটি ভিন্নভাবে কাজ করে। তবে উৎপাদনকারী যদি সুবিধা দিয়ে থাকে তাহলে অ্যাপ অপসারণ করা যাবে। আনইনস্টল করা না গেলে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিজেবলও করা যাবে। ডিজেবল করা থাকলে অ্যাপটির সব আপডেট মুছে যাবে এবং অ্যাপ ড্রয়ার থেকে শুরু করে ব্যাকগ্রাউন্ডেও চালু থাকবে না।
এডিবি ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যাপ আনইনস্টল করা: এডিবি বা অ্যান্ড্রয়েড ডিবাগ ব্রিজ এমন একটি টুল, যেটি ব্যবহার করে কম্পিউটার থেকে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে কমান্ড দেয়া যায়। এটি একটি কমান্ড লাইন টুল, যে কারণে এটি ব্যবহারের সময় কোনো কমান্ডে বানান ভুল করা যাবে না। এডিবির মাধ্যমে আগে থেকে ইনস্টল করা অ্যাপ ও ব্লোটওয়্যার অপসারণ করা যায়। এজন্য একটি ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ, ডাটা ট্রান্সফারের জন্য ভালো ইউএসবি কেবলের প্রয়োজন হবে। পুরোটাই সহজ প্রক্রিয়া, যার প্রথম ধাপে পিসিতে এডিবি ইনস্টল করতে হবে। এরপর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস পিসিতে যুক্ত করতে হবে এবং অ্যাপ আনইনস্টল করা যাবে। কমান্ড ভুল হওয়া এড়াতে এডিবি অ্যাপ কন্ট্রোল টুল ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
কাস্টম রম ইনস্টল করা: অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস থেকে সিস্টেম অ্যাপ অপসারণের সবশেষ সমাধান হচ্ছে কাস্টম রম ব্যবহার। বর্তমানে নিরাপত্তার কারণসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় কাস্টম রম ব্যবহার কমে গেছে। তবে প্রযুক্তিবিদদের মতে, ডিভাইসে যদি ব্লোটওয়্যার বেশি থাকে তাহলে রম ইনস্টল করে নেয়া ভালো। ডিভাইসের জন্য কোন রমটি ভালো হবে সেটি খুঁজে পেতে সময় লাগলেও এটি দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারকারীদের আরামদায়ক ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা দেবে এবং সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করবে। সবকিছু নির্ধারণ করা হলে গাইডলাইন অনুসরণ করে রম ইনস্টল করতে হবে।
ব্লোটওয়্যার অপসারণ করতে গিয়ে অনেক সময় প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইনস্টল হয়ে যায়। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। প্লেস্টোরে সব ধরনের অ্যাপই রয়েছে। সেখানে নাম অনুযায়ী সার্চ করে অ্যাপ পুনরায় ইনস্টল করে নেয়া যাবে। যদি সেভাবে না পাওয়া যায়, তাহলে স্মার্টফোনের সব ফাইল ব্যাকআপ রেখে ফ্যাক্টরি রিসেট দিলেই ডিভাইস আগের পর্যায়ে ফিরে আসবে। তবে এটি যে সব সময় কাজে দেবে সেটিও শতভাগ নিশ্চিত নয়। যে কারণে অ্যাপ ইনস্টল বা আনইনস্টলের সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়