প্রতিদিনের ডেস্ক
নবম উইকেট পড়তেই আম্পায়ারের দিকে ছুটলেন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। কী যেন কথা হয়েছিল দুজনের মধ্যে। স্বল্প আলোচনার পরেই আম্পায়ার জানালেন খেলা চলবে আরও কিছুটা সময়। অথচ, ততদিনে দিনের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। কোনো ওভারও বাকি নেই। বাড়তি সেই সময়ের শেষ ওভারেই অবশ্য ভুল করে বসল ভারত। খোয়ালো নিজেদের শেষ উইকেট। তাতেই ইংল্যান্ড জিতল ২৮ রানে। নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয়ে গেলে পঞ্চম দিনে খেলা গড়াত। তবে হায়দ্রাবাদে ভারত-ইংল্যান্ড চতুর্থ দিনের খেলা এক ঘণ্টা বেশি হল। খেলা শেষ হওয়ার কথা ছিল সাড়ে ৪টায়। কিন্তু সাড়ে ৫টা পর্যন্ত হল খেলা। এমন বাড়তি খেলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৌতুহলী প্রশ্ন উঠলেও ক্রিকেটীয় নিয়ম মেনেই চলেছে খেলা। সাধারণত টেস্ট ম্যাচে একদিনের খেলা হয় সাত ঘণ্টা ধরে। এক একটি সেশন দু’ঘণ্টার। মাঝে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি ৪০ মিনিট ও চা বিরতি থাকে ২০ মিনিট। সবমিলিয়ে মোট সাত ঘণ্টার খেলা হয়। ইংলিশদের বিপক্ষে টেস্ট শুরু হয়েছিল সকাল সাড়ে ৯টায়। শেষ হওয়ার কথা ছিল সাড়ে ৪টায়। কিন্তু টেস্টে খেলার ফলাফলের সম্ভাবনা তৈরি হলে তখনই আম্পায়ারেরা সাধারণত খেলার সময় বাড়িয়ে দেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও একই ঘটনা দেখা গিয়েছে। প্রথমে আম্পায়ারেরা নজর দেন দিনের ৯০ ওভারের খেলা শেষ করার দিকে। চতুর্থ দিন সাড়ে ৪টেয় খেলা শেষ হলে ৯০ ওভার খেলা হত না। আলো থাকায় আধ ঘণ্টা সময় বাড়িয়ে ৯০ ওভার পূরণ করার সুযোগ দেন দুই আম্পায়ার। সেই সময় ভারত হারায় ৭ উইকেট। যদি বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভারতের ৭ উইকেটই থাকত সেক্ষেত্রে খেলার সময় আর বাড়ত না। কিন্তু নতুন সময়ের শেষ দুই ওভারে পরপর ভারতের দুই উইকেট পড়ে যায়। ভারতের ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ায় আম্পায়ারের কাছে অতিরিক্ত আধ ঘণ্টা সময় চান ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস। টেস্টের নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময়ের তুলনায় একদিনে সর্বাধিক এক ঘণ্টা অতিরিক্ত খেলা হতে পারে। যার অর্থ, সিরাজ এবং বুমরাহ টিকে থাকতে পারলে সাড়ে ৫টায় শেষ হতো ম্যাচ। কিন্তু দিনের শেষ ওভারে সিরাজ আউট হলে, চতুর্থ দিনেই চলে আসে ম্যাচের ফলাফল।