প্রতিদিনের ডেস্ক
যেকোনো ভালো কাজের উদ্যোগ নিলেই সেটি করা সম্ভব হয় বলে উল্লেখ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এর মূল প্রমাণ এই শিশু বিভাগে প্রথমবারের মতো বিভাগভিত্তিক গবেষণা দিবস উদযাপন।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বিএসএমএমইউর শিশু সার্জারি বিভাগে প্রথমবারের মতো বিভাগভিত্তিক গবেষণা দিবস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে শিশু বিভাগের ইয়ারবুক-২০২৩ ও শিশু বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার ও অধ্যাপক ডা. ইমরুল ইসলাম একটি করে মোট দুটি মৌলিক গবেষণার প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, আমি উদ্যোগ নিয়েছিলাম বলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো লিভার ট্রান্সপ্লান্ট, পরপর দুটি ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের মতো জটিল অপারেশন, টেস্টটিউব বেবির জন্ম দেওয়া, জোড়া শিশুর সফলতাভাবে আলাদা করা হয়েছে। যেসব আগে কারো কল্পনায়ও ছিল না। উদ্যোগ নেবার ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পর সাধারণ জরুরি বিভাগ চালু করা হয়েছে। জার্নালও ইনডেক্স করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা কখনো ভাবিনি গ্লেুাকোমা স্ক্রিনিংয়ের একটি ডোনো মিটার কেনার ফলে ব্রিটিশ জার্নালে আমাদের নাম চলে আসবে। একটি উদ্যোগের মাধ্যমে এ মেশিন কেনা হয়েছে। এই মেশিন দিয়ে সিরাজগঞ্জে একসঙ্গে সাড়ে তিন হাজার মানুষের গ্লেুাকোমা পরীক্ষা করা হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে একসঙ্গে এত লোকের গ্লেুাকোমা করা হয়নি। আমরাই করেছি প্রথম।
উপাচার্য আরও বলেন, আমরা কৃষিখাতের মতো গবেষণা করতে চাই। আমরা চিকিৎসকরা গবেষণা ফলে কৃষির মতো প্রচুর অর্থ সাশ্রয় করতে পারব। গবেষণালব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দিলে রোগীদের বিদেশ নির্ভরতা কমাতে পারব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিশু অনুষদের ডিন শিশু বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. ডা. মো. আব্দুল্লাহ্ আল হারুন, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রি. জে. ডা. রেজাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোজ্জাম্মেল হক।