প্রতিদিনের ডেস্ক
বাজে শুরুর পর দলের হাল ধরেছিলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ধীর গতির শুরুতে দলকে পথ দেখালেও সময়মতো গিয়ার পরিবর্তন করতে পারেননি। বল আর প্রয়োজনীয় রানের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। শেষদিকে সেই দূরত্ব ঘুচানোর আগেই সাজঘরে ফিরেছেন অঙ্কন। ফলে ৮ রানে হেরেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টানা দ্বিতীয় জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এসেছে রংপুর রাইডার্স। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে রংপুর। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানের বেশি করতে পারেনি কুমিল্লা। ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক এদিন গোল্ডেন ডাক খেয়েছেন। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানও ২১ বলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। দুই ওপেনার রান না পেলেও দলের হাল ধরেন অঙ্কন ও তাওহিদ হৃদয়। এই দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫৩ রান। ৫৫ বলে ৬৩ রান এসেছে অঙ্কনের ব্যাট থেকে। আর হৃদয় করেছেন ২৮ বলে ৩৯ রান। এরপর খুশদিল শাহ-রেইমন রেইফাররা দ্রুত ফিরেছেন। শেষ ওভারে উইকেটে এসে জাকের আলী ৪ বলে অপরাজিত ১৮ রান করেও জয়ের সমীকরণ মেলাতে পারেননি। এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। আগের ম্যাচগুলোতে উইকেটে থিতু হয়েও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি রংপুরের ক্যারিবীয় ওপেনার ব্রান্ডন কিং। আজও ব্যত্যয় হলো না। ১২ বলে ১৪ রান করে তানভির ইসলামের বলে স্টাম্পিং হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি। তার বিদায়ে দলীয় ১৮ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। আরেক ওপেনার বাবর আজম ‘ধীরে চলো’ নীতিতে ব্যাট চালালেন। মন্থর ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৩৭ রান করে সাজঘরে ফিরে গেছেন। রনি তালুকদারের পরিবর্তে চলমান বিপিএলে প্রথম সুযোগ পাওয়া ফজলে মাহমুদ রাব্বি ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ২১ বলে ১ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। শামীম হোসেন পাটোয়ারীও ব্যর্থ হয়েছেন এদিন। শেষ দিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের মারকুটে ব্যাটিংয়ে দেড়শ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় রংপুর। আফগান এ অলরাউন্ডার ২০ বলে ১৮০ স্ট্রাইকরেটে ৩৬ রান করেছেন। ৭ বলে ১৩ রান করেন মোহাম্মদ নবি ও ৬ বলে ১৫ রানের দারুণ ক্যামিও খেলেছেন সোহান।