রেজাউল করিম, লোহাগড়া
নড়াইলের তিনটি উপজেলার হাট-বাজারে শীতকালীন তাজা শাক-সবজিতে ভরপুর থাকলেও দাম অনেক বেশি। ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাজারে শীতকালীন সবজি প্রচুর পরিমাণে থাকলেও দাম ছড়িয়েছে উত্তাপ। ব্যবসায়ীদের দাবি, আবহাওয়ার কারণে শীতের সবজিতে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এজন্য আগের তুলনায় সবজির দাম একটু বেড়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে লোহাগড়া উপজেলার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা ও ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শসা প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা, আলু লাল ৪০-৫০ টাকা, আলু সাদা ৩৫-৪৫ টাকা, টমেটো ৪০-৬০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা, মুলা ২০-৩০ টাকা, মরিচ ৮০-১০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ নতুন ৯০-১০০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৪০ টাকা, ওল ৪০-৫০ টাকা, আদা ২০০-২৪০ টাকা, রসুন ২২০-২৫০ টাকা, পুঁইশাক ৬০-৭০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা, মটরশুঁটি ১০০-১২০ টাকা, সাদা বেগুন ৬৫-৭০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, কাচঁকলা প্রতি হালি ২৫-৩০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাধন কুমার দাস নামের এক ক্রেতা বলেন, শীতের সময় সবজির দাম কম হওয়ার কথা ছিল। শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরপুর হলেও সবজির চড়া দাম কেন? এতো টাকা দিয়ে সবজি কিনে পরিবার চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। আমাদা থেকে সবজি কিনতে বাজারে আসা রইচ উদ্দীন টিপু বলেন, বাজারে সব কিছু থাকা সত্বেও দাম বেশি। বাজারে প্রতিটি সবজিরই আমদানি আছে। তাহলে কী কারণে জিনিসপত্রের দাম বেশি বুঝতে পারছি না। তাছাড়া বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ না থাকার কারণে দেশি পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। লোহাগড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ইবাদত শিকদার বলেন, সবজির দাম অন্যবারের তুলনায় বেশি। তবে, সরবরাহের বড় কোনো ঘাটতি নেই। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়ার কারণে শীতের সবজিতে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এজন্য আগের তুলনায় সবজির দাম একটু বেড়েছে। আশা করছি ৭-৮ দিনের মধ্যে সবজির দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।