নিপা সরকার
বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতকারী পাসপোর্ট-ধারী যাত্রীদের জে.এন.ওয়ান করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু এ ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের পূর্বের থার্মাল স্ক্যানিংসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে থাকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রমে ব্যহত হয়েছে। ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অব্যাহতভাবেই বেড়ে যাচ্ছে। তবে, এখানকার স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে থার্মাল স্ক্যানারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের যোগান পাওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবু তাহের ভারত প্রতিদিনের কথাকে বলেন, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দেশী-বিদেশি ৬ থেকে ৭ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত ও সহস্রাধীক পণ্যবাহী ট্রাক এবং সে সব ট্রাকের চালক-হেলপার আসা যাওয়া করেন। এদের মাধ্যমেও করোনা সংক্রমণের সুযোগ রয়েছে। ভারতগামী কয়েকজন পাসপোর্টধারী যাত্রী জানান, বন্দরের নিরাপত্তা কর্মী ও যাত্রীদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের আগ্রহ কম দেখা গেছে। তারা নিজেরা সচেতন হলে এবং যাত্রীদের সচেতন করলে সুরক্ষা জোরদার হবে। ভারতগামী একজন পাসপোর্টধারী যাত্রী জানান, ঘরে বসে থাকলে তো আর জীবন চলবেনা। সরকারের নির্দেশনা মেনে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে পথ এগোতে হবে। আর এ সতর্কতা কেউ না মানলে আবারো পিছনের করোনা পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। আরেক পাসপোর্ট যাত্রী জানান, চিকিৎসার জন্য পরিবারের সাথে ভারতে যাচ্ছেন। বন্দর ও কাস্টমস স্বাস্থ্য বিভাগে যারা দায়িত্বে আছেন তারা সচেতনতার বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে, এখন যেহেতু শুনলাম সচেতন থাকার চেষ্টা করবো। বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার মরিয়ম খন্দকার জানান, করোনার জে.এন.ডট.ওয়ান নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিভাগ সুরক্ষা বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে। এসংক্রান্ত চিঠিও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। যাত্রীদের সচেতন ও হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে সন্দেহভাজন যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। তবে, থার্মাল স্ক্যানিংসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নষ্ট থাকায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। আধুনিক যন্ত্রাংশ সরবরাহের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

