২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

আগে না চিনলেও দিনাজপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে কাঠবাদাম

প্রতিদিনের ডেস্ক
দিনাজপুর শহরে মুখোরচক খাবার হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কাঠবাদাম। শহরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে শিশু পার্কের দক্ষিণে বড়পুলের ওপর বিক্রি হচ্ছে গাছ থেকে পেড়ে নিয়ে আসা ফলসহ কাঠবাদাম। আর সেই কাঠবাদাম কিনতে সেখানে ভিড় করছেন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্রেতারা।১০ থেকে ১৫ টাকা হিসাবে প্রতি পিস ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। একটি ফলের ভেতরে থাকে ১০ থেকে ১৫টি কাঠবাদাম।
শহরের বড়পুলের ওপর ফুটপাতে ফলসহ কাঠবাদাম বিক্রেতা মো. অনু বলেন, দিনাজপুর শহরসহ বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য কাঠবাদামের গাছ রয়েছে। আবার আমরা নিজেরাও সরকারি বিভিন্ন জায়গায় কাঠবাদামের গাছ রোপণ করছি। এই বড় পুলের আশপাশে ১০ থেকে ১৫টি গাছ রয়েছে। দিনাজপুরের মানুষ কাঠবাদাম গাছ বা কাঠবাদাম চিনতোই না। আগে কাঠবাদাম পুরট হয়ে পড়ে গিয়ে নষ্ট হতো। গত তিন বছর ধরে আমি ও মো. মিলন এই কাঠবাদাম গাছ থেকে পেড়ে বিক্রি করছি।
মো. মিলন বলেন, ১০ থেকে ১৫ টাকা হিসাবে প্রতি পিস কাঠবাদাম ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। একটি ফলের ভেতরে রয়েছে ১০ থেকে ১৫টি কাঠবাদাম। মুখোরচক খাবার হওয়ায় মানুষ কিনে খেয়ে পরিবারের জন্যও নিয়ে যাচ্ছেন। ফলটি গাছে আসে সবুজ হিসেবে। পরে তা পুরট হয়ে কাঠ কালারের হয়। ফলটি শক্ত কিছুতে আঘাত করলে মাঝখানে ফেটে যায়। এতে করে ভেতরে লাল আবরণের মধ্যে কালো রঙের বিচি ছিললে প্রথমে লাল আবরণ বের হয়, সেটিকে আবার ছিললে বেরিয়ে আসে সাদা রঙের কাটবাদাম। যা খেতে অনেক সুস্বাদু।পাশেই কাঠবাদাম বিক্রি করছিল শিশু মো. ফিরোজ। সে জানায়, গতকাল সে চার বস্তা কাঠবাদাম ফল বিক্রি করেছে ৪ হাজার টাকায়। আজও এক বস্তা নিয়ে বিক্রি করছে এবং তার বাবা কাঠবাদাম গাছ থেকে পাড়তে গেছেন।
কাঠবাদাম কিনতে আসা দিনাজপুর জেলা জজ কোর্টের অফিস সহকারী মোয়াজ্জেম হোসেন শাহ বলেন, তিনি গত ৩ বছর ধরে এই বড়পুল এলাকা থেকে মিলন ও অনুর কাছ থেকে কাঠবাদাম কেনেন। পরিবারের সবাই এই কাঠবাদাম খেতে পছন্দ করেন। কারণ বাজারে যেগুলো পাওয়া যায় তা প্রক্রিয়াজাত করা। কিন্তু এটি সরাসরি কিনতে পারেন এবং খেয়ে প্রকৃত স্বাদ পান।
পুলহাট স্টাফ কোয়ার্টারের গেটের পাশের গাছের মালিক মো. রোস্তম আলী (৫৫) বলেন, তার গাছটির বয়স ৭০-৮০ বছর। তিনি জানতেন না যে এটি কাঠবাদামের গাছ। গাছটিতে বছরে কমপক্ষে ১০ হাজার ফল হয়। গত তিন বছর আগে জানতে পেরেছেন যে এটি কাঠবাদামের গাছ। এখন বিক্রি করে তিনি ভালো টাকা পান।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়