১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

ইউক্রেনকে অর্থ সহায়তা দিতে মরিয়া ইইউ, টিকছে না হাঙ্গেরির আপত্তি

প্রতিদিনের ডেস্ক
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে আরও অর্থ সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে হাঙ্গেরি। কিন্তু এবার তাদের আপত্তিকে পাশ কাটিয়েই কিয়েভকে টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইইউর বাকি সদস্য দেশগুলো।
পরিকল্পনা অনুসারে, ২০২৪ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে ৩ হাজার ৩০০ কোটি ইউরো এবং অনুদান হিসেবে আরও ১ হাজার ৭০০ কোটি ইউরো দেওয়া হবে। আর এই অর্থ যাবে সরাসরি ইইউ’র তহবিল থেকে।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই কিয়েভকে অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি দেওয়া হয়েছে আন্তঃসরকার চুক্তির মাধ্যমে। এই পদ্ধতিতে অর্থ দিতে প্রতি বছর প্রত্যেক সদস্য দেশের অনুমোদন দরকার হয়। পদ্ধিতিটি ইইউ বাজেট ব্যবহারের তুলনায় অনেক বেশি জটিল।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বর্তমানে ভয়াবহ অর্থ সংকটে রয়েছে ইউক্রেন। অতিরিক্ত সহায়তা না পেলে আগামী মার্চ মাস থেকে সাধারণ রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনার টাকাও থাকবে না কিয়েভের হাতে।
ইউক্রেনকে আরও অর্থ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বেশ কিছুদিন ধরে মার্কিন কংগ্রেসে আটকে রয়েছে। এর ফলে প্রধানতম মিত্র ও দাতা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আশানুরূপ কিছু দেখছে না ইউক্রেন। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তাই বড় ভরসা হয়ে উঠেছে কিয়েভ সরকারের কাছে।
ইইউ বাজেটের অর্থ ব্যবহার করতে জোটের ২৭ সদস্যেরই অনুমতি প্রয়োজন হয়। কিন্তু মস্কোর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হাঙ্গেরি এই প্রস্তাবে ভেটো দিতে চায়। বাকি ২৬ সদস্য হাঙ্গেরির ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে।
এই অচলাবস্থা নিরসনে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসতে চলেছেন ইইউ নেতারা। ইউক্রেনের জন্য ইইউ বাজেট ব্যবহারের সর্বসম্মত অনুমোদন পাওয়ার এটিই সর্বশেষ উপায়। না হলে পরিকল্পনাটি বাদ দিয়ে আগের মতো জটিল পদ্ধতিতেই যেতে হবে দাতাদের।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকের জন্য প্রস্তুত একটি খসড়া প্রস্তাবে দেখা গেছে, হাঙ্গেরিয়ান প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের দাবিগুলো আংশিকভাবে পূরণ করতে ইইউ নেতারা হাঙ্গেরিকে ভেটোদানের অধিকার না দিয়ে ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থ সহায়তা কীভাবে ব্যয় করবে, সে সম্পর্কে একটি বার্ষিক বিতর্ক আয়োজনের প্রস্তাব দেবেন।
অরবান অবশ্য এ ধরনের চুক্তিতে রাজি হবে কি না তা স্পষ্ট নয়। তবে ইইউতে হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূত গত বুধবার এক প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে বলেছিলেন, বুদাপেস্ট এখনো ভেটো ক্ষমতাই চায়।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়