প্রতিদিনের ডেস্ক
ম্যাচের ৪৪ মিনিটে গোল করে ১-০ তে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত এই লিড ধরেও রাখে হলুদজার্সিধারীরা। কিন্তু ইনজুরিতে সময়ে এসে তালগোল পেকে যায়। সেই প্যাঁচে শেষ পর্যন্ত হেরেই যায় অস্ট্রেলিয়া। অতিরিক্ত সময়ের ৬ মিনিটে (৯০+৬) মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার ফরোয়ার্ড সন হিউং মিন অস্ট্রেলিয়ার পেনাল্টি এরিয়ার ফাউলের শিকার হন। এতে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আর সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেনি কোরিয়া। পেনাল্টি শটে হং হি চানের গোলে ১-১ সমতায় ফেরে দূর প্রাচ্যের দেশটি। ইনজুরি সময়ের শেষ পর্যন্ত খেলা সমতায় থাকায় সেমিফাইনালের দল নির্ধারণে আরও ৩০ মিনিট হয়। সেখানেই হার অস্ট্রেলিয়ার। ম্যাচের ১০২ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডার লুইস মিলারের ফাউল করলে অ্যাটাকিং সাইডে ফ্রি-কিক পায় দক্ষিণ কোরিয়া। সেই ফ্রি-কিকে দুর্দান্ত শট করে গোলপোস্টের বাঁপায়ের উপরের কোণা দিয়ে বল অস্ট্রেলিয়ার জালে জমা করেন হিউং সন। টটেনহ্যাম হটস্পার তারকার গোলে কোরিয়া এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে। এদিকে ১০৫+৪ মিনিটে ফাউল করে লালকার্ড দেখেন অস্ট্রেলিয়ার মিডফিল্ডার এইডেন ও’নেইল। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়া। যে কারণে গোল শোধ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় তাদের। ফলে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রাখে কোরিয়া। শেষ বাঁশি বাজতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা। জয়ের কাছাকাছি গিয়েও এমন হার যেন মানতেই পারছেন না তারা। এই আসরের শেষ ষোলোর খেলায় সৌদি আরবকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল কোরিয়া। দিনের অন্য ম্যাচে তাজিকিস্তানকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়াান কাপের সেমিফাইনালে উঠে গেছে জর্ডান। ম্যাচের একমাত্র গোলটি ছিল আত্মঘাতী। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে তাজিকিস্তানের ভাহদাত হনোনভ ভুলবশত নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন।