২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

বাণিজ্যমেলায় বঙ্গবন্ধুর বাড়ির আদলে দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন

প্রতিদিনের ডেস্ক
চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসর। মেলার শুরুর দিকে ক্রেতা-দর্শনার্থীর আনাগোনা কম থাকলেও শেষের দিকে জমে উঠেছে বাণিজ্যমেলা। এবারের মেলায় অন্যতম মূল আকর্ষণে পরিণত হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন’। মেলায় প্রবেশ করেই দর্শনার্থীরা সবার আগে এ প্যাভিলিয়নে প্রবেশ করছেন। প্যাভিলিয়নটি দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন মেলায় আগত দর্শনার্থীরা।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে প্রবেশেই চোখে পড়ে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। যা তৈরি করা হয়েছে স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধুর বাড়ির আদলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, উন্নত শিল্প-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে তার অবদান ও ভাবনা, দেশের উন্নয়ন ইত্যাদি প্রক্ষেপণ করে এবারের বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন অধিকতর নান্দনিক, ভাবগাম্ভীর্য ও অর্থপূর্ণভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধিকার আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান, বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নেওয়ার প্রকৃত ইতিহাসও সবার কাছে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নের ভেতরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক বিভিন্ন আলোকচিত্র প্রদর্শন ছাড়াও সম্পর্কিত বই এবং তার জীবন ও কর্মভিত্তিক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রিজোয়ান আহমেদ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে যেভাবে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে তা সত্যিই প্রশংশনীয়। এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্ম সহজেই তার রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে ধারণা পাবে।
আজিজুল হাকিম নামের আরেক দর্শনার্থী বলেন, প্যাভিলিয়নটিতে প্রবেশ করেই মুগ্ধ হয়েছি। তার জীবন ও কর্মভিত্তিক ডকুমেন্টরি প্রদর্শনটি আমার বেশি ভালো লাগছে।
মেলার পরিচালক বিবেক সরকার বলেন, দিন যতই যাচ্ছে ততই দর্শনার্থী সমাগম বাড়ছে। আশা করছি বাকি দিনগুলোতে ক্রেতা-দর্শনার্থীর অনেক চাপ থাকবে। মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীর জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আগের মতো মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। সাপ্তাহিক ছুটির দিন চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলায় প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে বড়দের জন্য ৫০ টাকা, শিশুদের ২৫ টাকা। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা পর্যন্ত বিআরটিসি ও কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসের ডেডিকেটেড সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন এ বাস সার্ভিস চালু থাকবে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়