পলিনেট হাউজ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন, কৃষিতে নব দিগন্তের সূূচনা

0
14

আব্দুল আলিম, সাতক্ষীরা
ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় পলিনেট হাউজ পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষিতে নব দিগন্তের সৃষ্টি করেছে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার আচিমতলা গ্রামের বেকার যুবক এসএম রায়হান উল্লাহ আওরঙ্গী। বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা এই প্রথম সাতক্ষীরায় ২০ শতক জমিতে পলিনেট হাউজের মাধ্যমে উন্নত প্রযুক্তিতে অতি জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মুক্ত পরিবেশে বছরব্যাপী উচ্চ মূল্যে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে নিরাপদ চারা তৈরি করছে। রায়হান উল্লাহ আওরঙ্গী বলেন, সরকারের সহযোগিতায় তিনি উন্নত জাতের চারা উৎপাদন করে উন্নত জাতের সবজি উৎপাদনে কৃষককে সহায়তা করে চলেছেন। এছাড়াও তিনি ৬ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম, মরিচ, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করে সফলতা দেখিয়েছেন। থাইল্যান্ড, ভারত ও নেদারল্যান্ড থেকে বীজ সংগ্রহ করে চারা উৎপাদন করছেন। বর্তমানে তার প্লটে বেগুন ১ হাজার, পেপে ১ হাজার ৬শ’, লাউ ২ হাজার, শসা ১ হাজার ২শ’, মরিচ ৮ হাজার, ক্যাপসিকাম ৫ হাজার ও বারমাসী সজিনা ৫শ’ চারা উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া সিডলিং পদ্ধতিতে ট্রেতে কোকোপিট ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে বীজ বপন করা হয়। বীজ থেকে চারা তৈরি করে উৎপাদনকৃত চারা কৃষকদের মাঝে বিক্রি করছেন তিনি। বর্তমানে তার প্লটে সবমিলে ১৫ হাজার চারা আছে। তিনি পেপে ২৫ টাকা, বেগুন ২ টাকা, মরিচ ২ টাকা, লাউ ৭ টাকা, শসা ২ টাকা, ক্যাপসিকাম ১০ টাকা ও বার মাসী সজিনা ৫০ টাকা করে বিক্রি করছেন। তার উৎপাদিত সব চারা বিক্রি হয়ে গেছে। যেখানে ২০/২৫ হাজার টাকা লাভ হবে। তিনি আরও বলেন, এভাবে পর্যায়ক্রমে চারা উৎপাদন হলে বছর শেষে লাখ লাখ টাকার লাভ হবে তার।
পাইকগাছা উপজেলার শিমুল মোড়ল ও ঝিনাইদহের কামরুল ইসলাম তার উৎপাদিত সব চারা ক্রয় করেছেন। আগামী দু-একদিনের মধ্যে চারা ডেলিভারি দেবেন বলে জানান। পাটকেলঘাটা সরুলিয়া ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কল্যান কুমার ঘোষ জানান, প্রকল্প পরিচালক শেখ ফজলুল হক মনিসহ কৃষি বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। পলিনেটে উৎপাদিত চারা কৃষকদের মাঝে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে সরকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম জানান, বিদেশি প্রযুক্তি ব্যবহার এখানে উন্নত জাতের ভালো মানের চারা উৎপাদন করা হয়। কৃষকদের এখন আর খুলনা যশোরসহ বাইরের জেলা থেকে চারা সংগ্রহ করতে হবে না। এ পদ্ধতিতে একশ’টি বীজে একশটি চারা গজায়। পলিনেটের মধ্যে চারা উৎপাদনের জন্য সঠিক তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয় বলে এটা সম্ভব।