প্রতিদিনের ডেস্ক
অভিষেকের পর থেকে আলো ছড়াচ্ছেন বার্টলেট।অভিষেকের পর থেকে আলো ছড়াচ্ছেন বার্টলেট। ওয়ানডে সিরিজে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ওয়ানডেতে ক্যারিবীয়দের মাত্র ৮৬ রানে গুটিয়ে রেকর্ড গড়া এক জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। অভিষেকের পর থেকে আগুনে ফর্মে রয়েছেন পেসার জাভিয়ের বার্টলেট। এই ম্যাচেও চার উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসে ধস নামাতে ভূমিকা রেখেছেন তিনি। বার্টলেট ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। অভিষেকে ১৭ রানে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। সতীর্থ ল্যান্স মরিসও কম ছিলেন না। চোট নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে এই পেসার ১৩ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন। লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পাও ১৪ রানে উইকেট নিয়েছেন দুটি। ক্যানবেরায় টস হেরে ব্যাট করতে নামা ক্যারিবীয়দের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে আলিক অ্যাথানেজের ব্যাট থেকে। ডাবল ফিগারে রান করেছেন আরও দু’জন। ২৪.১ ওভারে ৮৬ রানে গুটিয়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের এটি পঞ্চম সর্বনিম্ন স্কোর। মামুলি লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনার জশ ইংলিস ও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া জ্যাক ফ্রেজার ম্যাককার্ক তাণ্ডব চালিয়েছেন। ৫ ওভারের মধ্যে তারা যোগ করেন ৬৭ রান! ২০০২ সালের পর দ্রুততম দলীয় ফিফটির নজিরও গড়েন তারা। ম্যাচটা শেষ হয়ে যায় ৬.৫ ওভারেই। তার পর তো ২ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ বল (৪৩.১ ওভার) হাতে রেখে অসাধারণ জয় পেয়েছে অজি দল। ওয়ানডেতে এত বেশি বল হাতে রেখে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের এটাই প্রথম নজির। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সংক্ষিপ্ততম ওয়ানডেও এটি। তিন ঘণ্টায় ইনিংস ব্রেকসহ খেলা হয়েছে মোট ৩১ ওভার। ম্যাকগার্ক ১৮ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ রানে আউট হলেও অপরাজিত ছিলেন ইংলিস। ১৬ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অধিনায়ক স্মিথ ৬ রানে অপরাজিত থেকেছেন। তার আগে হার্ডি আউট হন ২ রানে।