প্রতিদিনের ডেস্ক
ইসফাহানে নতুন একটি পারমাণবিক গবেষণা চুল্লির নির্মাণকাজের ঘোষণা দিয়েছে ইরান। আগেই দক্ষিণাঞ্চলে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ চলছে বলে জানিয়েছিল দেশটি। ইরানের আণবিক শক্তি সংগঠনের প্রধান মোহাম্মদ এসলামি বলেন, ইসফাহানের স্থাপনায় এ চুল্লির ভিত্তি নির্মাণে সোমবার কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনার এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে। এতে বলা হয়, মধ্য ইরানের ইসফাহান পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রে আগে থেকেই তিনটি চুল্লি আছে। নিউট্রনের একটি শক্তিশালী উৎস তৈরি করতে নতুন ১০ মেগাওয়াট গবেষণা চুল্লি তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ চুল্লিতে জ্বালানি ও পারমাণবিক উপাদান পরীক্ষা এবং শিল্পে ব্যবহারের জন্য রেডিওআইসোটোপ, রেডিওফার্মাসিউটিক্যালস উৎপাদনসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা থাকবে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে যুগান্তকারী পারমাণবিক চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর ২০১৮ সাল থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে তেহরান। ইরানকে পারমাণবিক বোমা তৈরি থেকে বিরত রাখতে পারমাণবিক কর্মসূচি কমানোর বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কথা ছিল ওই চুক্তিতে। পারমাণবিক বোমা তৈরির সক্ষমতা অর্জনের কোনো ধরনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণের বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে ইরান। দেশটি জোর দিয়ে বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। পারমাণবিক কর্মসূচি পর্যবেক্ষক আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি জানুয়ারিতে হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, সংস্থাটির সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্রে ইরান ‘বিধিনিষেধ আরোপ করছে’। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির পরিস্থিতি ‘হতাশাজনক’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে, বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ এসলামি হরমুজ প্রণালিতে অবস্থিত সিরিকে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কমপ্লেক্স নির্মাণের ঘোষণা দেন। পাঁচ হাজার মেগাওয়াটের সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতার চারটি আলাদা বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে এ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে আশা করা হচ্ছে সিরিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০৩১ সাল নাগাদ পুরোপুরি চালু হতে পারে। বর্তমানে বুশেহরে ইরানের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু আছে। এ কেন্দ্রের তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।