প্রতিদিনের ডেস্ক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে তৈরি যেকোনো কাজে ডিজিটাল ওয়াটারমার্ক বা জলছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণ কাজ থেকে এআইকে আলাদা করতেই এ উদ্যোগ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ওয়াটারমার্কের মাধ্যমে কপিরাইটসংক্রান্ত আইনি লড়াই দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে। খবর টেকটাইমস।
ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার ল’ স্কুল, ইউনিভার্সিটি অব রিডিং, মিউচুয়াল অব আমেরিকা ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপ, লাক্স মেডিয়েশন ও আইবিএমের গবেষক পরিচালিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
টেক এক্সপ্লোরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিজিটাল ওয়াটারমার্ক প্রযুক্তি আইনি প্রক্রিয়ায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। এটিকে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন সম্পর্কিত তথ্য মূল্যায়ন, দ্রুত মামলা ও আদালতে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
এক বিবৃতিতে ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার ল’ স্কুলের অধ্যাপক জেমস গ্রিফিন জানান, এআইয়ের অন্তর্ভুক্তকরণ বিচারকদের মামলা পরিচালনা, বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যবস্থাপনা, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের পাশাপাশি পূর্বাভাসের মডেল দিয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে।
ডিজিটাল ওয়াটারমার্ক ও এআইয়ের অন্তর্ভুক্তকরণ সফল হলে, কপিরাইট আইন বিষয়ক বিরোধের সমাধান সহজ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের মতো উদীয়মান ক্ষেত্রে এটি বিভিন্ন কপিরাইট বিরোধের সমাধান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মনে করছেন গবেষকরা।
থ্রিডি প্রিন্টিং কপিরাইট মামলার বিষয়ে এক জরিপে দেখা যায়, এআই সিস্টেমে ডিজিটাল ওয়াটারমার্ক ব্যবহার করার ফলে আরো দ্রুত কপিরাইট বিষয়ক বিরোধগুলো নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে। মূলত ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট ওয়াটারমার্ক এমন একটি কৌশল যা ভিডিওর মতো ডিজিটাল কনটেন্ট চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যেমন ইউটিউবের মতো প্লাটফর্মগুলো তাদের ভিডিওতে এ ধরনের ওয়াটারমার্ক ব্যবহার করে থাকে।
গবেষণায় অনলাইন ডিজিটাল কনটেন্টের বাইরে প্রচলিত মিডিয়াতেও ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট ওয়াটারমার্ক ব্যবহারে সম্ভাবনার কথা আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রচলিত মিডিয়ার পাশাপাশি থ্রিডি প্রিন্টিং করা বস্তুর মতো আধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ওয়াটারমার্ক ব্যবহার করার সম্ভাবনা রয়েছে।
গবেষণায় ডিজিটাল ওয়াটারমার্ক ও এআইয়ের মেশিন লার্নিং একসঙ্গে ব্যবহার করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এতে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে আগামীতে আইনি প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।প্রযুক্তির বিকাশ অব্যাহত থাকায় আইনি প্রক্রিয়াগুলোয় এআইনির্ভর ডিজিটাল ওয়াটারমার্ক অন্তর্ভুক্তকরণ কপিরাইট আইনের প্রয়োগ, মামলা নিষ্পত্তি নতুন পথ দেখাবে। পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ অধিকারও সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে বলে অভিমত গবেষকদের।