প্রতিদিনের ডেস্ক
দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য দেশীয় র্যাংকিং প্রথা চালুর সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। কমিশনের ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তরের পর সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
ইউজিসি এবার বার্ষিক প্রতিবেদনে ১৪টি সুপারিশ করেছে। এর তিন নম্বর সুপারিশে বলা হয়েছে, গুণগত এবং মানসম্মত আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিংয়ের উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক র্যাংকিং ব্যবস্থার আদলে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য সরকার জাতীয় পর্যায়ে একটি অভ্যন্তরীণ র্যাংকিং ব্যবস্থা প্রবর্তনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
সুপারিশে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক র্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষা, গবেষণা, পেটেন্ট, সাইটেশন, রেপুটেশন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে এ র্যাংকিং পদ্ধতি প্রবর্তিত হতে পারে। এ বিষয়ে কার্যক্রম নেওয়ার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে পারে।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, এটা জাতীয় বা অভ্যন্তরীণভাবে হতে পারে। বিশ্ব র্যাংকিংয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এটা সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গেও হতে পারে, আবার আলাদাভাবেও হতে পারে। সরকার চাইলে ইউজিসি এ কাজের সমন্বয় করবে। শিক্ষক, শিক্ষাবিদদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ প্যানেল থাকবে। তারাই মূল কাজটা করবেন।
ইউজিসি সূত্র জানিয়েছে, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের র্যাংকিংয়ের মানদণ্ডে বিদেশি ও দেশি শিক্ষার্থীর অনুপাতসহ বেশ কিছু বিষয় থাকে। সেখানেই পিছিয়ে পড়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন সময়ে ইউজিসির কাছে অভিযোগ করে থাকে যে, এসব র্যাংকিং পুরোটায় কাগজনির্ভর হওয়ায় বাস্তব অবস্থার সঙ্গে তা মেলে না। ফলে অংশগ্রহণকারী দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সামনে আসতে পারে না। অথচ দেশের বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেশ ভালো করছে।