৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

ডিপফেক প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে স্ক্যামাররা

প্রতিদিনের ডেস্ক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার বর্তমানে সব খাতেই বাড়ছে। ছবি ও ভিডিও সম্পাদনায় এআই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। তবে এর নেতিবাচক ব্যবহারও বেড়ে চলেছে। এআই নির্ভর ডিপফেক প্রযুক্তি এখন নতুন দুশ্চিন্তার কারণ হয়েছে দাঁড়িয়েছে। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে স্ক্যামাররা। খবর এনগ্যাজেট।
সম্প্রতি স্ক্যামাররা ডিপফেক ব্যবহার করে হংকংয়ের বহুজাতিক একটি কোম্পানি থেকে ২ কোটি ৫৬ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির একজন চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসারের ডিপফেক তৈরির মাধ্যমে এ অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
ছবি, অডিও এবং ভিডিও তৈরিতে বর্তমানে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। অনেকে ডিপফেক এআইকে একুশ শতকের ফটোশপিং বলে থাকে। সহজ ভাষায় ডিপফেক হলো এআই নির্ভর এমন এক প্রযুক্তি যার মাধ্যমে যেকোনো ভিডিও, ছবি এবং অডিও রেকর্ডিংয়ে বিশ্বাসযোগ্যভাবে মানুষের মুখমণ্ডল বা কণ্ঠস্বর নকল করা যায়।
ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। হংকংয়ের অর্থ চুরির ঘটনায় স্ক্যামাররা ভিডিও কলের মাধ্যমে চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার সেজে কোম্পানি থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্ক্যামাররা এজন্য সিএফওর পাবলিক ডোমেইনে থাকা ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করেছে।
স্ক্যামাররা ভিডিও কল চলাকালীন ডিপফেক ভিডিওর মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে পাঁচটি স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ২ কোটি ৫৬ লাখ ডলার স্থানান্তর করার নির্দেশ দেয়। স্ক্যামাররা তাৎক্ষণিক অর্থ স্থানান্তরের জন্য চাপ তৈরি করেছিল বলে জানায় ভুক্তভোগী। অর্থ স্থানান্তর শেষ হলে ভিডিও কলটি হঠাৎ করে কেটে যায়। কিন্তু এতে তখনো কোনো সন্দেহ সৃষ্টি হয়নি। ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর কোম্পানির কাছে স্ক্যামের ঘটনাটি উন্মোচিত হয়।
হংকং পুলিশ এরই মধ্যে স্ক্যামের ঘটনার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা স্ক্যামের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, অপরাধীরা ২০২৩ সালে আটটি পরিচয়পত্র চুরি করে ৫৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চালু করে এবং ৯০টি ঋণের আবেদন দাখিল করে। এছাড়া স্ক্যামাররা অন্তত ২০টি ক্ষেত্রে ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেমকে ফাঁকি দিতে ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে।
ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহার বর্তমানে উল্লেখযোগ্য এক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে সম্প্রতি সংগীত শিল্পী টেইলর সুইফট ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহারের শিকার হয়েছিলেন।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়