প্রতিদিনের ডেস্ক
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি হাজারে ২৫ দশমিক ৫ জন মানুষ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধিতা বা স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে অসুবিধার সম্মুখীন। লিঙ্গভেদে প্রতিবন্ধিতার হারে তেমন পার্থক্য নেই। তবে নারীর থেকে পুরুষরা বেশি হারে প্রতিবন্ধী। পুরুষদের মধ্যে প্রতিবন্ধী প্রতি হাজারে ২৫ দশমিক ৬ জন এবং নারীদের মধ্যে প্রতিবন্ধী প্রতি হাজারে ২৫ দশমিক ৪ জন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২২ (এসভিআরএস)-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এটি সম্প্রতি ওয়াবসাইটে প্রকাশ করে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, শারীরিক প্রতিবন্ধিতার হার সবচেয়ে বেশি, ১ দশমিক ১৯ শতাংশ। বাকিগুলোর মধ্যে রয়েছে অটিজম বা অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার, শূন্য দশমিক শূন্য ৪, মানসিক অসুস্থতা শূন্য দশমিক ২৪, দৃষ্টিশক্তি প্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ৩৯, বাকপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ১১, বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ১৪, শ্রবণ প্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ১৯, সেরিব্রাল পালসি শূন্য দশমিক শূন্য ৬, ডাউন সিনড্রোমের প্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ০০৩ শতাংশ, বধির-অন্ধত্ব শূন্য দশমিক ১০, একাধিক প্রতিবন্ধিতা শূন্য দশমিক ২৬ এবং অন্যান্য অক্ষমতা শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ।
প্রতিবন্ধিতার হারের দিক থেকে বেশি খুলনা বিভাগে ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ, কম সিলেটে ২ দশমিক ২৮ শতাংশ। এছাড়া রংপুরে ৩ দশমিক ৫৪, রাজশাহীতে ৩ দশমিক ৩৫, বরিশালে ২ দশমিক ৪৪, চট্টগ্রামে ২ দশমিক ৪১ এবং ঢাকায় ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। খুলনায় পুরুষদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক হারে প্রতিবন্ধী, ৪ দশমিক ২৭ শতাংশ, রংপুরে এ হার ৪ দশমিক ০৯ শতাংশ। এর অর্থ খুলনায় ১০০ জন পুরুষের মধ্যে ৪ দশমিক ২৭ জন প্রতিবন্ধী, রংপুরে ৪ দশমিক ০৯ জন।
সিলেটে পুরুষ প্রতিবন্ধীর হার ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। অন্য দিকে নারী প্রতিবন্ধীর হার বেশি রংপুরে ২ দশমিক ৯৮, রাজশাহীতে ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। নারী প্রতিবন্ধীর হারও কম সিলেটে, ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।