এমামুল হাসান সবুজ, ঝিকরগাছা
যশোরের ঝিকরগাছা রেলওয়ে স্টেশনে পুলিশ পরিচয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের উপর চড়াও হওয়া ২ যুবকের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন, যশোর সদরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার নুর মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম ও রুমার ছেলে রানা। তারা দু’জনই পেশায় মাদক ব্যবসায়ী বলে যশোরের একাধিক সুত্র থেকে জানাগেছে। গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী বেতনা এক্সপ্রেসের ৫২০৮ নং বগির দরজা আটকে দাড়িয়ে থাকে সাইফুল ও রানা। ফলে ওই দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকা খুলনাগামী কোন যাত্রী উঠতে পারেনি। এসময় সংবাদকর্মীরা তাদের পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে (ছবি ও ভিডিও) ধারন করছিলেন। এসময় সাইফুল তার ছবি তুলতে নিশেধ করে। এসময় ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবের সংবাদকর্মীরা ওই দুই যুবককে দরজা ছেড়ে উপরে উঠতে অথবা নিচে নেমে দাড়াতে বলে। এতে সাইফুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে দরজা থেকে নেমে এসে প্লাটফর্মের বেঞ্চের উপর দাড়ানো সংবাদকর্মীদের উপর চড়াও হয় এবং নিজের পকেট থেকে মোবাইল বের করে নিজেকে পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের ছবি তোলে। পরে আটকে দেয়া খুলনাগামী যাত্রীদের তোপের মূখে পড়ে যুবক সাইফুল ইসলাম। পরে সংবাদকর্মীদের ধারনকৃত ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়। নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেয়ার (ছবি ও ভিডিও আছে) বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমামুল হাসান সবুজ। ঝিকরগাছা রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলেন, প্রতিদিন বিকালে খুলনাগামী ট্রেনের দরজার সামনে কয়েকজন করে যুবক দাড়িয়ে থেকে যাত্রীদের উঠতে বাধা সৃষ্টি করে। স্টেশনে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য ও কুলি শ্রমিকরা চেষ্টা করেও সরাতে পারেনা। ফলে প্রতিদিন শত শত যাত্রী ফিরে যায়। একাধিক যাত্রীর দাবি দরজা আটকে রাখা যুবকরা এক একটি গ্রæপ। তারা বেনাপোল থেকে উঠে যশোর স্টেশনে নামে। এক একটি গ্রæপের সাথে ভারতীয় শাড়ি, থ্রিপিচ, কম্বলসহ ব্যাগভর্তি বিভিন্ন মালামাল থাকে। ফলে খুলনাগামী যাত্রী বেশি উঠলে মালামাল নিয়ে যশোর স্টেশনে নামতে অসুবিধা হবে। সেকারনে এসব যুবকরা ঝিকরগাছা স্টেশন থেকে বেশি যাত্রী উঠতে দেয় না বলেও জানান খুলনাগামী অসংখ্য যাত্রী।