শামীম হাসান সুজন, শরণখোলা
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সুপেয় পানির একটি শোধনাগার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মইনুল হক।১১ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২ টায় এ পানি শোধনাগার এর উদ্বোধন করেন। পরে শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এ এইচ এম কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বকুল তলা গ্রামে পানি শোধনাগার এর সামনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ, কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল হাই, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুব্রত কুমার সরদার।এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সিনিয়র প্রভাষক আব্দুল মালেক রেজা, সাংবাদিক শেখ মোহাম্মদ আলী ,আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজ হোসেন, ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন খলিল, জমি দাতা সেকান্দার আলী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বাংলাদেশ পুলিশ খুলনা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের বাস্তবায়নে ও বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, খুলনার কয়রা, দাকোপ, বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানার বকুলতলা গ্রামে পানি শোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে। শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের মোঃ সেকান্দার ফরাজীর বাড়িতে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পন্ন এই বিশুদ্ধ পানি শোধনাগার। মুলত উপকুলীয় এলাকার অতি দরিদ্র মানুষ বিশুদ্ধ পানি পানের বিষয়টি চিন্তা করে বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা রেঞ্জ এর ডিআইজি মাইনুল হক বিপিএম (বার) পিপিএম এর পরিকল্পনায় শরণখোলা উপজেলায় পানি শোধনাগারটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের এই পানি শোধনাগার সার্বিক তদারকি করবে শরণখোলা থানা পুলিশ। জমিদাতা সেকান্দার আলী বলেন, এলাকার মানুষ বিশুদ্ধ পানি পান করার সুযোগ পাবে এটা ভেবে আমি পানি শোধনাগার স্থাপনের জমি দান করেছি। এ ব্যাপারে বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ও কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার) পিপিএম দেশের বাইরে থাকায় তার নির্দেশ ক্রমে পানির প্লান্ট উদ্বোধন করেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মইনুল হক।তিনি আরো বলেন, পানি শোধনাগার থেকে প্রতিদিন দশ হাজার লিটার পানি সরবরাহ সম্ভব হবে। তবে এটা রক্ষণাবেক্ষণে এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।