প্রতিদিনের ডেস্ক
চট্টগ্রামের গ্যালারির অর্ধেকের বেশি ফাঁকা। চার-পাঁচ হাজার দর্শকের সমাগম দিনের প্রথম ম্যাচে। অধিকাংশের গায়েই জড়ানো লাল জার্সি। এই লাল জার্সিটি পরেই মাঠে খেলছে ফরচুন বরিশাল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের দর্শকরা বরিশালের প্রতিটি চার-ছক্কায়, প্রতিটি উইকেটে চিৎকার করে উঠছে। স্লোগান তুলছে ফরচুন বরিশালের নামে। সে এক বিরল দৃশ্য। চট্টগ্রামের মানুষ বরিশালের সমর্থক-ব্যাপারটা বিস্ময়করই বটে! এর পেছনে নিঃসন্দেহে একটি নিগুড় রহস্য রয়েছে। চট্টগ্রামের ছেলে তামিম ইকবাল যে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক! তার নেতৃত্বে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে খেলছে বরিশালের দলটি। যে কারণে, ফরচুন বরিশালও হয়ে গেছে চট্টগ্রামের ক্রিকেটপ্রেমীদের পছন্দের দল। তামিম ইকবাল এবং তার দল বরিশালও হতাশ করলো না। দুর্দান্ত ঢাকাকে ২৭ রানে হারিয়েছে তারা। তামিম ইকবাল নিজেও হলেন ম্যাচের সেরা পারফরমার। ৪৫ বলে ৭১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদানটি রাখেন তিনি। বরিশালের করা ১৮৬ রানের জবাবে দুর্দান্ত ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানে থেমে যায়। অ্যালেক্স রস ৪৯ বলে অপরাজিত ৮৯ রান করলেও ঢাকার কোনো লাভ হয়নি। টানা ৯ ম্যাচ হারলো মোসাদ্দেক হোসেন এবং তাসকিন আহমেদদের দলটি। বিপিএলের শুরুতে সেই যে একটি জয়ের দেখা পেয়েছিলো দুর্দান্ত ঢাকা, এরপর জয় কি জিনিস তা বেমালুম ভুলে গেছে তারা। প্রথম ম্যাচ জয়ের পর টানা ৯টি ম্যাচ হারলো ঢাকার দলটি। সিলেট-ঢাকা ঘুরে চট্টগ্রাম এসেও জয়ের দেখা পেলো না তারা। মূলত, ঢাকার ব্যাটাররা খুবই বাজে পারফরম্যান্স দেখানোর কারণেই জয়ের দেখা মিলছে না মোসদ্দেকদের। বুধবার তামিম ইকবালদের মুখোমুখি হয়ে জয়ের রাস্তা খুঁজে পেলো না তারা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের ৭১ রানের ওপর ভর করে ১৮৬ রান করে বরিশাল। শেষ মুহূর্তে ৬ বলে ২৩ রান করেন সাইফউদ্দিন। জবাব দিতে নেমে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে দুর্দান্ত ঢাকা। মোহাম্মদ নাঈম ১০ বলে করেন ৪ রান। অ্যাডাম রোজিংটোন করেন ৪ রান। ২ রান করে আউট হন সাইফ হাসান। অস্ট্রেলিয়ান মিডল অর্ডার ব্যাটার অ্যালেক্স রোজ শুধু একা একপাশ আগলে দাঁড়িয়েছিলেন। ৪৯ বলে তিনি করেন অপরাজিত ৮৯ রান। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৭টি ছক্কার মার মারেন তিনি। জিম্বাবুয়ের সিন উইলিয়ামস ১৫ বলে করেন ১২ রান। ৯ বলে ৬ রান করেন মেহেরব, মোসাদ্দেক হোসেন করেন ৮ রান। আলাউদ্দিন বাবু করেন ৩ রান। তাসকিন আহমেদ করেন ১০ রান। বরিশালের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফুউদ্দিন এবং খালেদ আহমেদ। ১টি করে উইকেট নেন কেশভ মাহারাজ এবং ওবেদ ম্যাকয়।