প্রতিদিনের ডেস্ক:
পাকিস্তানের এবারের জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক নির্বাচনে ২৭ নারী জয় পেয়েছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের ১৬ আসনে জিতেছিলেন নারী প্রার্থীরা। সে তুলনায় এবার ১১টির বেশি আসনে নারীরা জয় পেয়েছেন। ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটির জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক নির্বাচনে ভোট নেওয়া হয়। এ নির্বাচনে মোট ৮৮২ নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩১২ জন জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ৫৭০ জন প্রাদেশিক পরিষদে। এতে এবারের নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বেড়েছে। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১১১টি রাজনৈতিক দলের মনোনীত ৬ হাজার ৩৭ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে নারী ছিলেন ২৭৫ জন, যা দলগুলোর মোট প্রার্থীর ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। পাকিস্তানে ২০১৮ সালে ১৮৩ নারী জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে তাঁদের মধ্যে মাত্র আটজন জয় পেয়েছিলেন। বিজয়ী নারী প্রার্থীদের মধ্যে চারজন সিন্ধুতে, তিনজন পাঞ্জাবে ও একজন বেলুচিস্তানের। খাইবার পাখতুনখাওয়ায় কোনো নারী প্রার্থী জেতেননি। আর প্রাদেশিক নির্বাচনে সাত নারী জয়ী হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুজন সিন্ধু থেকে এবং পাঁচজন পাঞ্জাব থেকে জয় পেয়েছিলেন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে নারী প্রার্থী ছিলেন মোট ১৩৫ জন। আর ২০০৮ সালের নির্বাচনে মাত্র ৭২ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।এবার জাতীয় পরিষদে ১২ নারী জয় পেয়েছেন। আর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে পাঞ্জাব থেকে ১১ জন, সিন্ধু থেকে ২ জন এবং খাইবার পাখতুনখাওয়া থেকে ১ নারী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের মধ্যে চারজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন (পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ) টিকিট নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাঁরা হলেন শিজরা মানসাব খারাল, মরিয়ম নওয়াজ শরিফ, বেগম তেহমিনা দৌলতানা ও নোশীন ইফতিখার। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) দলের সমর্থিত পাঁচজন নারী প্রার্থী জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে জিতেছেন। তাঁরা হলেন আয়েশা নাজির জুট, উম্বার মজিদ, জারতাজ গুল, শানদানা গুলজার খান ও আনিকা মেহেদি। এ ছাড়া পিপিপির (পাকিস্তান পিপলস পার্টি) দুই প্রার্থী নাফিসা শাহ ও শাজিয়া মারিও নিজ নিজ এলাকা থেকে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে জিতেছেন।