প্রতিদিনের ডেস্ক:
একদিন পরই এসএসসি পরীক্ষায় বসছে আব্দুর রাফি। নবম ও দশম শ্রেণিতে দুই বছর বিজ্ঞান বিভাগে পড়েছে সে। ক্লাসও করেছে বিজ্ঞান শাখায়। বিজ্ঞান শাখা থেকে পরীক্ষা দিতে সে পুরোদমে প্রস্তুতিও নিয়েছে। শেষবেলায় এসে বেধেছে বিপত্তি! বিজ্ঞান শাখা থেকে নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করলেও তার প্রবেশপত্র এসেছে বাণিজ্য শাখার। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর গুলশানের ভাটারা ছোলমাইদ এলাকার আছমতউল্লাহ আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। রাফি ও তার অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করলেও প্রথম দিকে তাতে সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ। উল্টো তারা রাফিকে বাণিজ্যের বিষয়েই পরীক্ষা দিতে হবে বলে জানিয়ে দেন।এদিকে, বিষয়টি নিয়ে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ করেন রাফির সহপাঠী ও অভিভাবকরা। দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। একপর্যায়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ তার প্রবেশপত্র পরিবর্তনের জন্য ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেছেন বলে জানান। জানতে চাইলে আছমতউল্লাহ আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ভুল-তো ভুলই। কীভাবে ভুলটা হয়েছে, তা জানা যায়নি। এটা শোধরাতে আমরা শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেছি। দ্রুতই হয়ে যাবে।একদিন পরই এসএসসি পরীক্ষা, কবে নাগাদ রাফির প্রবেশপত্র সংশোধন করা সম্ভব হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রথমে বাংলা, ইংরেজিসহ আবশ্যক বিষয়গুলোর পরীক্ষা। সব শাখার শিক্ষার্থীরা এসব পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। ৩ মার্চ থেকে শাখাভিত্তিক বিষয়গুলোর পরীক্ষা শুরু হবে। আশা করছি, তার আগেই রাফির প্রবেশপত্র সংশোধন করা সম্ভব হবে। স্কুলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, খবর পেয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে মিমাংসা করা হয়েছে। বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষা শুরুর আগেই রাফি নামে ওই শিক্ষার্থীর সঠিক প্রবেশপত্রের ব্যবস্থা করে দেবে স্কুল।এদিকে আছমতউল্লাহ আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর ২১ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। তাদের পরীক্ষার কেন্দ্র বাড্ডা গার্লস হাই স্কুলে। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, মাত্র ২১ জন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন করাতে গিয়েই স্কুল কর্তৃপক্ষ এত বড় ভুল করলো। এটা মেনে নেওয়া যায় না।তারা অভিযোগ করেন, বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন ফি মাত্র আড়াই হাজার টাকার মতো। অথচ রেজিস্ট্রেশনের সময় এ স্কুল থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৫ হাজার টাকা স্কুল মেইনটেনেন্স ফি। বাকি ৫ হাজার টাকা রেজিস্ট্রেশনের জন্য। অর্থাৎ, বোর্ডের নির্ধারিত ফি এর দ্বিগুণ টাকা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।