প্রতিদিনের ডেস্ক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০(খুলশি-ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনে নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি আইনের ২০০৮-এর বিধি ৩ ধারায় মামলা হয়।
আদালত অপরাধ আমলে নিয়ে মহিউদ্দিন বাচ্চুকে ১৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সশরীরে হাজির হয়ে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। তবে তিনি হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এর আগে প্রচারণা চলাকালে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর মহিউদ্দিন বাচ্চু তার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ব্যক্তিগতভাবে এক হাজার টাকা করে দেন। এছাড়া ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডের মাদানি মসজিদে এক লাখ টাকার চেক দেন। বিষয়টি ওই মসজিদের ইমাম জুমার নামাজের আগে খুতবায় মুসল্লিদের অবহিত করেন।
একইভাবে ২৪ ডিসেম্বর লালখানবাজারে প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় থেকে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সব মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ৬০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদানের চেক বিতরণ করেন, যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ লঙ্ঘন।
এরপর ২৪ ডিসেম্বর মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে টাকা বিলির অভিযোগ করেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলম। পরে ৪ জানুয়ারি মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে মামলা করতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয় ইসি।
এরপর ১৬ জানুয়ারি ডবলমুরিং থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মু. মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহিউদ্দিন বাচ্চু ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকের প্রার্থী মনজুর আলম পেয়েছিলেন ৩৯ হাজার ৫৩৫ ভোট।