প্রতিদিনের ডেস্ক
এক সময় সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রেমে পড়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। সম্পর্কে থাকাকালীন সুকেশের কাছ থেকে একাধিক দামি উপহারও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরই সুকেশের নাম জড়ায় ২০০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে। সুকেশের সঙ্গে অভিনেত্রীর নাম জড়িয়ে পড়ার ফলে আদালতে চক্কর কাটতে হয় তাকে। প্রতারণাকাণ্ডের তদন্ত চলাকালীন একাধিকবার আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। শুধু তাই-ই নয়, অভিনেত্রীর বিদেশযাত্রাতেও জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। সেই নিষেধাজ্ঞা তোলা হয় গত বছর। তার পর থেকেই নাকি ভয় দেখাতে শুরু করেন সুকেশ। জেলে বসেই প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন। শেষমেশ ভয় পেয়ে দিল্লির পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হন অভিনেত্রী।
অভিযোগ করার মাত্র একদিনের মধ্যে মত বদলে ফেললেন নায়িকা। এই মুহূর্তে দিল্লির ম্যান্ডোলি জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। জেলে বসেই প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন জ্যাকুলিনকে। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিনেত্রী।
দিল্লি পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন সুকেশের নামে। জ্যাকুলিন তার অভিযোগ পত্রে জানান, সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করে তার সম্মানহানির চেষ্টা করছেন সুকেশ। জেলে বসেই ক্রমাগত প্রেমপত্র লিখে গিয়েছেন অভিনেত্রীকে। তাতেই বিব্রত হয়েছেন জ্যাকুলিন। সুকেশের প্রেমপত্রে কখনো রয়েছে ভালোবাসার কথা, কখনো ছিল প্রচ্ছন্ন হুমকি। কখনো আবার জ্যাকুলিনকে সোজাসাপ্টাই লিখছেন তার গোপন কাজকর্ম ফাঁস করে দেবেন। খানিক অতিষ্ঠ হয়েই পুলিশের কাছে যান তিনি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই অভিযোগ তুলে নিলেন জ্যাকুলিন। কিন্তু কী কারণে আচমকা মত বদল তার, সদুত্তর মেলেনি। অনেকেই মনে করছেন, জ্যাকুলিনের এই ভোলবদলের পেছনেও রয়েছে সুকেশের হাত। না হলে অভিযোগ করে আবার তুলে নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।