২৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

সিলেটকে বিদায় করে প্লে-অফের সামনে বরিশাল

প্রতিদিনের ডেস্ক
আরিফুল হক এবং বেনি হাওয়েল ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছিলেন। এমনকি ফরচুন বরিশালের দেওয়া ১৮৪ রানের টার্গেট টপকে যাওয়ার স্বপ্নটাও হয়ত দেখতে শুরু করেছিলেন সিলেটের সমর্থকদের কেউ কেউ। কিন্তু ওবেদ ম্যাককয়ের বলে আরিফুলের আউট শেষ করে দিয়েছে সিলেটের সম্ভাবনা। দশম ম্যাচে সপ্তম হারের পর সিলেটের বিদায় এখন নিশ্চিত। ১০ ম্যাচ শেষে সিলেটের পয়েন্ট ৬। পরের দুই ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১০। একইরকম ১০ পয়েন্টে আছে খুলনা টাইগার্স এবং চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এই দুই দল আবার মুখোমুখি হবে ২০ তারিখ। সেই ম্যাচে কোন একদল জয়ী হলেই তারা চলে যাবে সিলেটের ধরাছোঁয়ার বাইরে। হিসেবের অঙ্কে টিকে থাকলেও এবারের বিপিএল থেকে সিলেটের বিদায় তাই নিশ্চিত। বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচে সিলেটের ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতোই। পুরো আসরে ব্যর্থ সিলেট চট্টগ্রামের রানপ্রসবা উইকেটেও কিছুই করে দেখাতে পারেনি। উল্টো ৪০ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে নিজেদের বিপদ বাড়িয়েছে নিজেরাই। আরিফুল এবং হাওয়েল পরাজয় এড়াতে লড়াই করেছেন। তবে দুজনের প্রায় দুইশ স্ট্রাইকরেটের পার্টনারশিপের পরেও সিলেট হেরেছে ১৮ রানের ব্যবধানে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারায় সিলেট। কাইল মায়ার্সের সুইংয়ে পরাস্ত হয়েছেন হ্যারি টেক্টর। এরপর পঞ্চম বলেই স্লিপে দারুণ ক্যাচ নিয়ে শান্তকে সাজঘরে পাঠান সৌম্য। বোলার সেই মায়ার্স। দলীয় ১৮ রানে রানআউট হন জাকির হাসান। ১১ বলে ৫ রান করেন তিনি। ৩৩ থেকে ৪০, এই সাত রানেই আরও তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে সিলেট। মিঠুন পারেননি ইনিংস বড় করতে। ব্যর্থ হয়েছেন দুই বিদেশী অ্যাঞ্জেলো পেরেরা এবং রায়ান বার্ল। ৪০ রানেই নেই সিলেটের ৬ উইকেট। এরপর সংগ্রাম করেছেন আরিফুল হক এবং বেনি হাওয়েল। দুজন মিলে ৫৪ বলে গড়েছেন ১০৮ রানের জুটি। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ৪৪ রান। আরিফুল আউট হয়ে গেলে সেখানেই ইতি ঘটে সিলেটের স্বপ্নের। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৩ রান। এরপর ৫৭ রানে বেনি হাওয়েল আউট হলে তাদের পরাজয় ছিল সময়ের ব্যাপার। ১৮৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সিলেট থামে ১৬৫ রানে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়