২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ফখরুল

প্রতিদিনের ডেস্ক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘কারাবন্দি অবস্থায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ ছিলেন। তার ওজন প্রায় ৬ কেজি কমে গেছে। বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। বর্তমানে তিনি গুলশানে নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিএনপি মহাসচিব শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে গিয়ে ছিলেন জানিয়ে এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন বলেন, আজ বিকেলে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের গ্যাসস্ট্রোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শামসুল আরেফিনকে দেখিয়েছেন উনি। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপত্র দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এখন উনার শারীরিক অবস্থা ভালো। বাসা থেকে উনার চিকিৎসা চলছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) একটি পরীক্ষার জন্য ওনাকে আবার হাসপাতালে যেতে হবে।’
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
গত ২৮ অক্টোবর গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল এবং ২ নভেম্বর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গুলশানের একটি বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে পরবর্তিতে তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখায়।
জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সেদিন দুপুরের আগে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাছেই কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড়ে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয় আরও ডজনখানেক যানবাহনে। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে।
দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘাতে প্রাণ যায় যুবদলের মুগদা থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা শামীম মোল্লার।
সংঘর্ষের মধ্যে পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকেই পরদিন সারাদেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে ফখরুলকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। আর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ২ নভেম্বর রাতে গুলশানের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ হত্যার মামলায় রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ।
ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি এবং খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনাটি ছাড়া সব মামলায় তারা বিভিন্ন সময়ে জামিন পেয়ে যান। কিন্তু এক মামলায় আটকে থাকায় তাদের মুক্তি মিলছিল না।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়