শামিম হোসেন, কুয়াদা
যশোর মনিরামপুর উপজেলার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গরু চোরেরা। মণিরামপুর উপজেলার ভোজগাতী ইউনিয়নের জামজামি গ্রামের সরদার পাড়ায় হাসান সরদার এর বাড়িতে ১৮ তারিখ রাত আনুমানিক ২টার সময় গরু চোর এসে হানা দিয়ে হাসান সরদারের বাড়ির গোয়ালঘরের ২ টি তালা ভেংগে ৩টি গরু বাড়ির থেকে বের করে নিয়ে যায় কিন্তু হঠাৎ এলাকা বাসী গরু চুরির ঘটনা জানতে পারায় চোর চক্রটি একটি গরু ছেড়ে পালিয়ে যায়,অনেক খোজাখুজির পরে রাতের অন্ধকারে ১টি গরু ধানের ভুইতে পাওয়া যায় আর একটি গভন গরু ও বাছুর খুজে পাওয়া যায় নি তবে গরুটি যে ধানের ভুইতে পাওয়া গেছে তার সাথে একটি শীতের গেঞ্জি চোরেরা ফেলে রেখে গেছে, তার দুইটি গরু দাম আনুমানিক ২ লক্ষ টাকার মতো। এলাকাবাসি ধারণা করছে ১ টি গরু ধানের ভুইতে শুয়ে পরে সেখান থেকে উঠানোর জন্য চোর চক্র গেঞ্জি ব্যাবহার করেছে, এলাকায় মসজিদে গরু চুরির মাইকিং করলে চোর চক্র ২ টি গরু নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গ্রাম পুলিশ সুভাস দাস জানান, জামজামি গ্রামে দুটি গোয়ালে চুরি করতে আসছিলো চোর চক্র হাসান সরদারের বাড়িতে দুইটি গরু নিয়ে গেছে আর একটি নীলকুমারের গোয়াল ঘরে তালা কেটেছে কিন্তু নিয়ে যেতে সক্ষম হয়নি। এলাকাবাসী জানান, যে গ্রামে চুরি হচ্ছে সেই গ্রামে চোর চক্রের সদস্য আছে যার কারণে গরু চুরিটা বেশিই হচ্ছে। গরু চুরির ঘটনা এই গ্রামে নতুন নয় ভোজগাতী ইউনিয়ন জামজামি, ভোজগাতী, ধোনার, হরেগাতী, গত বছরসহ এখন পযন্ত ৫০-৬০ গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থা গরু খামারীরা, গরু চুরির আতঙ্কে রাত পার করছেন। কনো ভাবেই যেনো এই চোর ধরা পড়ছে না। স্হানীয় সুত্রে জানা যায় রাতের বেলায় যেসব সড়কে আলো থাকে না কিংবা অনেকটা নির্জন ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশি উন্নত পুলিশের নজরদারি যেখানে কম বিশেষ করে সে সব এলাকায় চুরির ঘটনা বেশি ঘটছে। হাসান সরদারের জামাতা আলতাফ জানান, গরুর ঘরে তালা ভেংগে ধানের ভুইতে টানতে টানতে গাড়িতে তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছিলো। গরু চোরেরা ধরা ছোয়ার বাহিরে থাকে এ কারনে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারে না। যে কারণে সহজে পার পেয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল। এ বিষয়ে মণিরামপুর থানার এস আই মাসুম জানান আলতাফ হোসেন, হাসান সরদারের জামাতা অভিযোগ করেছে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।