নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে পুলিশের অভিযান কোনো ব্যক্তি বা জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে নয়। এ অভিযান সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করছে। তার অন্য কোনো পরিচয় পুলিশের কাছে মূখ্য নয়। পুলিশের এই শুদ্ধি অভিযান চলছে ও চলবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। রোববার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যশোর ছিলো অপরাধের আখড়া। বাড়ি করতে হলে চাঁদা দিতে হত মালিকদের। তিনি এসে প্রতিটি নির্মানাধীন বাড়িতে চাঁদাবাজদের রুখতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এতে করে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ব কমে এসেছিলো। এছাড়া খুন গুমসহ নানা অপরাধও কমে এসেছিলো। সম্প্রতি নির্বাচনী ডিউটিতে পুলিশের ব্যস্ততার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারই পরিপেক্ষিতে পুলিশ শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেছে। তিনি আরও বলেন, এই শুদ্ধি অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কতিপয় ব্যক্তি যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে সে বিষয়েও পুলিশ সজাগ রয়েছে। কোনো ধরণের অপচেষ্টায় পুলিশ বাধাগ্রস্ত হবেনা। অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ছিলো, আছে থাকবেই। মত বিনিময়সভায় জানানো হয় চলতি মাসে পুলিশের অভিযানে ১৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। দেশি বিদেশি অস্ত্র, ও বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার করেছে তারা। এসব ঘটনায় ১০৩টি মামলা হয়েছে। মতবিনিময় সভায় পুলিশের এ সুদ্ধি অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেন সাংবাদিকেরা। একই সাথে এ অভিযান অব্যাহত রাখারও দাবি জানান তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন ও ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকারসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, সম্প্রতি পুলিশের অভিযানে আটক হয় বিচারককে হত্যার হুমকি দেয়া আইনজীবী নব কুমার কুন্ডু, মদসহ আটক হয় যশোর পৌরসভার কাউন্সিলার জাহিদ হোসেন মিলন, সরকারী কর্মকর্তাকে হুমকি দেয়ায় আটক হয় আলোচিত ম্যানছেল। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় চলে পুলিশের সাড়াশি অভিযান। যা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় অপরাধীদের মাঝে।