প্রতিদিনের ডেস্ক
২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ অভিযানের নামে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এই যুদ্ধে ‘অকালেই’ ঝরে যায় ইউক্রেনের হাজার তরুণের প্রাণ। রুশ সৈন্যরা দেশটিতে হামলা চালানোর পর এসব তরুণ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এছাড়া রুশ বাহিনীর হামলায় প্রাণ যায় অনেক অভিজ্ঞ সেনারও।যুদ্ধে প্রাণ হারানো এসব ইউক্রেনীয় সেনা— অথবা যারা সামনে প্রাণ হারাবেন, এখন থেকে তারাও বাবা হতে পারবেন। সম্প্রতি এমনই একটি আইন প্রণয়ন করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
যেসব সেনা মৃত্যুর পরও বাবা হতে চান, তাদের শুক্রানু সংরক্ষণ করে রাখা হবে। এরপর সেগুলো তাদের স্ত্রীর ডিম্বানুতে দিয়ে সন্তান জন্ম দেওয়া হবে।গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে ভিতালি নামের এক সেনা ও তার স্ত্রী কায়রাকাচ-আন্তোনেকোর জীবন কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে।
ভিতালি ২০২২ সালের নভেম্বরে রুশ বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারান। যুদ্ধে যাওয়ার আগে তিনি ঠিক করেন নিজের শুক্রানু সংরক্ষণ করে রাখবেন; যেন তিনি মারা গেলেও সেই শুক্রানু দিয়ে তার স্ত্রী সন্তান জন্ম দিতে পারেন।
যদিও যুদ্ধের মধ্যেই তিনি ছুটি পেয়ে একবার বাড়িতে আসেন এবং ওই সময় তার স্ত্রী গর্ভবতী হন। এর কয়েক মাস পর তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হন। এরপর তার স্ত্রী আরও সন্তান নেওয়ার জন্য তার স্বামীর শুক্রানু সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন। কিন্তু তিনি তখন জানতে পারেন; বৈধভাবে তিনি এটি করতে পারবেন না। যদিও তার স্বামী লিখিতভাবে এ ব্যাপারে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়ে যান।
তবে এখন থেকে আর এই বিধবার মতো অন্যদের আর এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না। এখন থেকে তারা বৈধভাবেই মৃত স্বামীর শুক্রানু দিয়ে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সরকারিভাবে সহায়তাও করা হবে। সূত্র: সিএনএন