উত্তম চক্রবর্তী, রাজগঞ্জ
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা গ্রামের অসংখ্যা গরীব অসহায় মানুষের মুখের আহার কেড়ে নিয়ে জোরপূর্বক মাছের ঘের কাটার নামে প্রায় ২০ বিঘা জমির ধান ক্ষেত নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় স্থানীয় উত্তেজিত জনতার তোপের মুখে পড়েন ঘের মালিক জাহাঙ্গীর আলম। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের সংঘাত। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাওড়ের কোমলপুর আগাড়ে। স্থানীয় চাষি জামাল উদ্দীন, শাহিনুর রহমান, হাফিজুর রহমান, মিজানুর রহমান, জামাত আলী, মোশারফ, শহীদ, মোরশেদ, ইব্রাহিম, ইজ্জেত আলী, আমজেত আলী, মোস্তফা, শুকচান আলী, ছদর আলী, হালিম, নেদা, জানান, ঝাঁপা বাওড়ের কোমলপুর আগাড়ে জেগে উঠা জমিতে ঝাঁপা গ্রামের গরীর অসহায় অসংখ্য মানুষ বাওড় পাড়ে দীর্ঘদিন ধরে ধান চাষ করে আসছে। এবারও চাষ করেছে তারা। এদিকে বাওড় ইজারাদার কোমলপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম আবাদকৃত প্রায় ২০ বিঘা জমিতে রোপন করা ইরি-বোরো ধান ক্ষেত ড্রেজার মেশিন দিয়ে নষ্ট করে ঘের করার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় ভুক্তভোগী চাষিরা (অসংখ্যা নারী- পুরুষ) এসে বাধা দেয়। জনতার তোপের মুখে অবশেষ ঘের কাটা বন্ধ করতে বাধ্য হয় ঘের মালিক। এ ব্যাপারে ঘের মালিক জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তাকে পাওয়া যায়নি। ঝাঁপা গ্রামবাসির দাবী- ধার-দেনা করে এখানে অনেক গরীব মানুষ বাওড় পাড়ে জেগে উঠা জমিতে ধান চাষ করেছে। এতে তাদের অন্তত ৪/৫ মাসের খোরাকি বের হবে। কিন্তু ঘের কাটার নামে গরীব অসহায় মানুষের আহার কেড়ে নিচ্ছে জাহাঙ্গীর। যদি এখন এই জায়গায় ঘের তৈরি করা হয়, তাহলে গরীব মানুষেরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। স্থানীয় ইউপি সদস্য খালেদুর রহমান টিটো বলেন- ঘের কাটার ঘটনা সত্য। ঝাঁপা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সঞ্জিত কুমার জানান- এব্যাপারে আমাদের কেউ কিছু জানাই নাই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থ নেওয়া হবে।