সোনিয়া আফরিণ
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে যশোরের ভৈরব নদে অপরিকল্পিত ব্রীজ নির্মাণ বন্ধসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভৈরবনাথ সংস্কার আন্দোলনের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। দাবির পক্ষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়। মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন,ভৈরব নদ যশোর অঞ্চলের অন্যতম নদী। ব্রিটিশ আমল থেকে এই নদের উপরে অত্যাচার চলছে। নদের মুখে নির্মাণ করা হয়েছে দর্শনা চিনিকল। এছাড়া অপরিকল্পিত ৫২ টি ব্রিজ, পোল্ডার, স্লুইসগেটের কারণে পানি প্রবাহ, জীব-বৈচিত্র ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। নদী সংস্কারে শত শত কোটি টাকা ব্যয় হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। বরং পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে, অর্থ অপচয় হয়েছে। এ সকল কর্মকান্ডে ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে। এই পরিস্থিতি অবসানে মাথাভাঙ্গা নদীর সাথে ভৈরবের সংযোগ ঘটাতে পারলে যুগান্তকারী ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে। দক্ষিণ-পশ্চিমা লের নদীসমূহ প্রবাহ ফিরে পাবে, ভবদহসহ উপক‚লীয় জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। সমুদ্র থেকে উঠে আসা পলির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। নওয়াপাড়া-খুলনা নদীবন্দর ও মোংলা সমুদ্র বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধি পাবে। সুন্দরবনও বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে। কৃষি উৎপাদনে নৌ-চলাচলে অভূতপূর্ব পরিবর্তন সাধিত হবে। এজন্য উজানে মাথাভাঙ্গা-ভৈরব নদী সংযোগ দ্রুত বাস্তবায়ন, হাইকোর্টের জারিকৃত রুল অমান্য করে ভৈরবের উপর ব্রীজ নির্মাণ কাজ বন্ধ, ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বিল কপালিয়াসহ বিলে বিলে টিআরএম চালু ও ভৈরব, কপোতাক্ষ সংস্কারে দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে। এরপর জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, সভাপতি রুকুন-উদ-দৌল্লা, মোবাশ্বার হোসেন বাবু, জিল্লুর রহমান ভিটু, তসলিম উর রহমান, এড. আবুল হোসেন, এড. মাহমুদ হাসান বুলু, হাচিনুর রহমান, এড. আমিনুর রহমান হিরু, আব্দুর রহিম, অনিল বিশ্বাস, মিজানুর রহমান, আবু সাঈদ নাসির আহমেদ সেফাড প্রমুখ।