প্রতিদিনের ডেস্ক:
গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৬২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের স্থান হয়েছে দাম কমার তালিকায়। এমন পতনের বাজারেও দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কিছু প্রতিষ্ঠান দাপট দেখিয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি দাপট দেখিয়েছে এস্কয়ার নিট কম্পোজিট। বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আগ্রহের শীর্ষে চলে আসে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে এই কোম্পানিটি। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মেলিতভাবে বেড়েছে ৭৮ কোটি টাকার বেশি। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪৭টির। আর ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ৬২ দশমিক ৩০ পয়েন্ট। আর বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা।
এই পতনের বাজারেই গত সপ্তাহজুড়ে এস্কয়ার নিট কম্পোজিটের শেয়ার দাম বেড়েছে ২২ দশমিক ৯২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৫ টাকা ৮০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সম্মেলিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৭৮ কোটি ২৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ২৫ টাকা ৩০ পয়সা। শেয়ার দামে এমন উত্থান হওয়া কোম্পানিট সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ নগদ, ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ নগদ এবং ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০১৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৩৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা ১৩ কোটি ৪৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮৩৩টি। এর মধ্যে ৪৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪০ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার আছে।এদিকে দফায় দফায় দাম বাড়লেও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে চাননি। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে মাত্র ৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এস্কয়ার নিট কম্পোজিটের পরেই গত সপ্তাহে দাম বাড়ার তালিকায় ছিল মুন্নু ফেব্রিক্স। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স। এছাড়া গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- কুইন সাউথ টেক্সটাইলের ১৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের ১৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ, এএফসি এগ্রো’র ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ, এইচ আর টেক্সটাইলের ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ, অ্যাকটিভ ফাইনের ১১ দশমিক ৪৫ শতংশ এবং জেমিনি সি ফুডের ১১ দশমিক ২৫ শতাংশ দাম বেড়েছে।