২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

মেহেরপুরে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

মেহেরপুর প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীর আলম কাওছার (৩৮) হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফয়সাল হোসেন ওরফে প্যাডিকে গ্রেফতার করেছে গাংনী থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম র‌্যাব-২ শেরেবাংলানগর ক্যাম্পের সহায়তায় তাকে তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফয়সাল হোসেন গাংনী পৌরসভার শিশিরপাড়া গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে। তিনি ৯ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফয়সাল হোসেন প্যাডির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীর আলম কাওছার, কক্সবাজারের আলামিন হত্যা মামলাসহ একটি অস্ত্র আইনে ও বিস্ফোরক এবং ছিনতাই মামলা আদালতে রয়েছে। হত্যা মামলা দুটিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম জাহাঙ্গীর আলম কাউছার বণিক বার্তা পত্রিকার বিজ্ঞাপন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকে তার মোবাইলফোন বন্ধ ছিল। জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রোকসানা পারভীন ওই দিন তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জাহাঙ্গীরের খবর জানতে একাধিক বার ফয়সালের সঙ্গে কথা বলে জাহাঙ্গীরের পরিবার। কিন্তু ফয়সাল তাদের বলেন, তিনি কিছুই জানেন না। পরে রাজধানীর খিলক্ষেত নামাপাড়ার ২১১/১-এ নম্বর বাড়ির পাঁচতলার একটি মেসে স্যুটকেসের ভেতর থেকে জাহাঙ্গীরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রোকসানা পারভীন বাদী হয়ে ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর খিলক্ষেত থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার এসআই আব্দুল জলিল। ওই বছরের ২৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। ২০২১ সালে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখান এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে জাহাঙ্গীর আলমের খালাতো ভাই এইচএম ফয়সাল ওরফে প্যাডিকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর তিন আসামি নাজমুল হাসান ওরফে রাকিব, রায়হান হাসান সারোয়ার ও ফাহিম হাসান খানকে যাবজ্জীবন দেন। এসময় প্রধান আসামি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্যাডি পলাতক ছিলেন। সে সময় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান, রায় ঘোষণার সময় থেকে প্যাডি পলাতক ছিল। সে ঢাকার বাউনিয়া এলাকায় রুবেল নামে পরিচিত হয়ে বসবাস করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে এসআই জহির রায়হান ও সঙ্গীয় ফোর্স তাকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দিকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়