প্রতিদিনের ডেস্ক:
বিয়ে হয়েছিল মাত্র মাস তিনেক আগে। ভালোভাবেই চলছিল সবকিছু। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্বামী-স্ত্রী মিলে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। কিন্তু ঘুরতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় স্বামীর। আর স্বামীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন স্ত্রী।মর্মান্তিক এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের দিল্লিতে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার গাজিয়াবাদের এক তরুণ দম্পতি চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাওয়ার মাধ্যমে তাদের দিন শুরু করেছিলেন। আর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে উভয়ই মারা গেছেন। ২৫ বছর বয়সী স্বামী অভিষেক আহলুওয়ালি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেলেও, তার স্ত্রী অঞ্জলি সেই ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে সপ্তম তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। অভিষেক ও অঞ্জলির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গত বছরের ৩০ নভেম্বর তাদের বিয়ে হয়েছিল। দিল্লির চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন দু’জন। সেখানেই অভিষেক বুকে ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
পরে অঞ্জলি তার বন্ধুদের ফোন করেন এবং তার স্বামীকে প্রথমে গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সফদরজং হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে চিকিৎসকরা অভিষেককে মৃত ঘোষণা করেন। হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়। এরপর সোমবার রাত ৯টা নাগাদ গাজিয়াবাদের বৈশালীর আহলকন অ্যাপার্টমেন্টে নববিবাহিত দম্পতির বাড়িতে স্বামী অভিষেক আহলুওয়ালির মরদেহ পৌঁছায়। এদিকে স্বামীর অকালমৃত্যুর শোক সইতে না পেরে অঞ্জলি তাদের সপ্তম তলার বারান্দায় গিয়ে নিচে ঝাঁপ দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বৈশালীর ম্যাক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার ভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অভিষেকের আত্মীয় ববিতা বলেন, ‘মরদেহ বাড়িতে আনার পর অঞ্জলি পাশে বসে কাঁদছিল। তারপর হঠাৎ উঠে বারান্দার দিকে দৌড় দিল। আমি বুঝতে পারছিলাম সে লাফ দেবে। আমি তার পেছনে দৌড়েছিলাম, কিন্তু আমি তাকে থামানোর আগেই সে লাফ দিয়ে দেয়।’এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ২৫ বছর বয়সী এই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু আবারও তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যার উদ্বেগজনক বৃদ্ধির দিকে সবার নজর এনে দিয়েছে। ভারতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়ার ঘটনা বেড়েছে।