১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

ছুটছে ট্রাম্পের জয়রথ, বাইডেন সহজ জয় পেলেও ক্ষুব্ধ ভোটাররা

প্রতিদিনের ডেস্ক
মিশিগানে মঙ্গলবার ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্টশিয়াল প্রাইমারিতে সহজ জয় পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের প্রতি বাইডেনের অন্ধ সমর্থন ডেমোক্রেট ভোটারদের যে ক্ষুব্ধ করছে তার প্রমাণ এদিনে পাওয়া গেছে। কারণ, এদিন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভোটার ব্যালটে ‘আনকমিটেড’ (প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়) ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে, রিপালিকান প্রেসিডেন্টশিয়াল প্রাইমারিতে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। নানা কারণে বিতর্কিত এবং দলের ভেতর খুব একটা জনপ্রিয় না হলেও এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিভিন্ন রাজ্যের প্রাইমারি ও ককাসগুলোতে ট্রাম্পের জয়রথ এখন পর্যন্ত অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছে। রিপাবলিকান ভোটারদের কাছে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার চিত্র দেখে আগেই তার প্রতি নিজেদের সমর্থন জানিয়ে বাকি বড় প্রার্থীরা সরে গেছেন। টিকে আছেন একমাত্র নিকি হ্যালি। যিনি মিশিগানে দ্বিতীয় হয়েছেন। যদিও মিশিগানে নিজ নিজ দলের প্রাইমারিতে বাইডেন ও ট্রাম্পের সহজ জয় পূর্ব অনুমিতই ছিল। তারপরও মঙ্গলবার ভোট গণনার বিষয়টি গভীর মনযোগে লক্ষ্য করা হয়েছে। মিশিগানে বিপুল সংখ্যায় আরব বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের বসবাস। তাদের অনেকে বাইডেনের গাজাসংক্রান্ত নীতিমালার বিরোধী। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার ডেমোক্রেটদের প্রাইমারিতে ভোটাভুটির সময় ব্যালটে ‘আনকমিটেড’ অংশটি চিহ্নিত করার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল। এডিসন রিসার্চ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট ভোটের প্রায় অর্ধেক গণনা শেষে দেখা গেছে ৫৮ হাজারের বেশি ভোটার ‘আনকমিটেড’ ভোট দিয়েছেন। যা প্রতিবাদ আয়োজকদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। তাদের ধারণা ছিল, হয়তো ১০ হাজার ‘আনকমিটেড’ ভোট পড়বে। ২০২০ সালের নির্বাচনে মিশিগানের আরব বংশোদ্ভূত বেশিরভাগ ভোটাররা বাইডেনকে সমর্থন দিয়েছিলেন। তাদের বেশিরভাগই এবার গাজা যুদ্ধ নীতি নিয়ে তার উপর ক্ষুব্ধ। আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে মিশিগান অঙ্গরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি দোদুল্যমান রাজ্য হিসেবে পরিচিত, যা যেকোনো দলের দিকে ঝুঁকে যেতে পারে। গত নির্বাচনে বাইডেন মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ বা ১ লাখ ৫৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে ট্রাম্পকে হারিয়েছিলেন। এই রাজ্যে প্রায় তিন লাখ আরব-মুসলিম বসবাস করেন। তাই এ রাজ্যে জয়-পরাজয়ে তাদের ভোট যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়