প্রতিদিনের ডেস্ক
সাবেক স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক লতা আক্তার (২৭) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম। লতার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি লতা আক্তারের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় তার সাবেক স্বামী মো. খলিলুর রহমান। নরসিংদীর রায়পুরায় ঘটে এ ঘটনা।
এই চিকিৎসকের গায়ে আগুন দেওয়ার পর তার সাবেক স্বামী নিজের গায়েও আগুন দিয়েছিলেন। তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।
ঘটনার পর ২৭ ফেব্রুয়ারি লতাকে দেখতে হাসপাতালে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তখন তিনি বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক, হৃদয়বিদারক ও দুঃখজনক। এমন ঘটনায় আসলে কেউই লাভবান হয় না, শুধু নিজেদেরই ক্ষতি হয়। পেট্রোলের আগুনে পুড়ে যাওয়া আমাদের এই চিকিৎসকের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ অবস্থায় তাকে সুস্থ করা বেশ কঠিন।
নিহত লতার খালু মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন লতা। তিনি নারায়ণগঞ্জে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, দুই বছর আগে খলিলুর রহমান নামে এক ছেলেকে প্রেম করে বিয়ে করেন লতা। বিয়ের কিছুদিন পর জানতে পারেন ওই ছেলে একজন গাড়িচালক। প্রতারণা করে বিয়ে করায় তাদের তালাক হয়। এর জেরে বাসায় এসে লতার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেন খলিলুর।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, লতার শরীরে ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আজ দুপুরের দিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।