প্রতিদিনের ডেস্ক
দিনমজুর বাবার সন্তান নাইম আহমেদ (১৮)। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা জোগাড় করতে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণ না করেই ফিরতে হচ্ছে লাশ হয়ে।শুক্রবার (১ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ইমার্জেন্সি বিভাগের সামনে এমনটাই জানাচ্ছিলেন নাইমের বাবা নান্টু।
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে অনার্সে ভর্তি হতে চেয়েছিল। আমাকে বলেছিল বাবা তুমি তো খরচ চালাতে পারবে না। আমি ঢাকায় গিয়ে কাজ করে যা টাকা পাবো সেটা দিয়েই ভর্তি হয়ে যাবো। তাহলে তোমার আর কষ্ট হবে না। আর হলো না।’
নাইম আহমেদের বাবা নান্টু বলেন, ‘নাইমের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে রাত সাড়ে নয়টায়। তখন সে (নাইম) বলে মার্কেটে আগুন লেগেছে। ওই মুহুর্তে সে সবার সঙ্গে ছাদে আছে। আমরা তাকে বলেছিলাম তুমি ছাদেই থাকো। আল্লাহ ফয়সালা করবে। এর পরে ওর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারিনি। ফোন দিয়েছি কিন্তু রিসিভ করেনি।’নাইমের চাচাতো ভাই আরিফ জানান, নাইম আহমেদের বাড়ি বরগুনা জেলার বড় গৌরিচেনা গ্রামে।
তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখে নাইম একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করেন বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের মার্কেটে। সেখানও নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্বে ছিলেন।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বেইলি রোডের আগুনে শেখ হাসিনা বার্নে ২২ জনকে আনা হয়। তার মধ্যে ১১ জন মারা গেছেন। ৯ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। নাইমের লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে। আরও একজন অজ্ঞাত এখানে রয়েছে। ১১ জন শ্বাসনালীতে জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।