৬ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ২১শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

কেন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হলো না, প্রশ্ন দোকান মালিক সমিতির সভাপতির

প্রতিদিনের ডেস্ক:
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেছেন, যারা রেগুলেটরি বোর্ডে আছেন, তাদের কোনও শাস্তি হয় না। তারা শুধু নোটিশ দেন। নোটিশ বড় ব্যবস্থা না, আপনারা কেন সেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলেন না, সেটা হলো প্রশ্ন? শনিবার (২ মার্চ) বেইলি রোডে পুড়ে যাওয়া ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘যেসব রেগুলেটরি বোর্ড এ ভবনে ব্যবসার অনুমতি দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিক। এ ধরনের ঘটনা আবার ঘটুক, এটা আমরা চাই না। যার ত্রুটি থাকবে, তার বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে। সেটা কোনও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে হতে পারে, সংস্থার বিরুদ্ধেও হতে পারে। সবকিছু বাণিজ্যিকিকরণ করা হবে, আর সেটার মাধ্যমে মানুষের জীবন চলে যাবে– এটা হতে পারে না। যে রেগুলেটরি বোর্ডে সমস্যা রয়েছে, সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’ তিনি বলেন, ‘এখানে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে, কাস্টমারদেরও ক্ষতি হয়েছে। তাদের জীবন চলে গেছে। আমাদের শত কোটি টাকা এখানে নষ্ট হয়েছে।’ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সঙ্গে আলোচনা করে মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন স্টেক হোল্ডাররা বিভিন্ন মার্কেটগুলো পরিদর্শন করলেন। সেখানে আমরা দেখলাম, কোথাও বিদ্যুতে সমস্যা, কোথাও ফায়ার সমস্যা। সমস্যা যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে, এখন ফায়ার সেফটিতে যারা কাজ করেন, তারা এক সময় ফায়ার বিগ্রেডে কাজ করতেন। তারা ফার্মগুলো খুলেছে। এখন একেক মার্কেটে গিয়ে বলছেন তিন থেকে পাঁচ কোটি টাকা লাগবে ফায়ার সেফটির জন্য।’ তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন হচ্ছে, এত বড় অঙ্কের টাকা আমরা কোথায় পাবো? সরকার বলেছে, ফায়ার সেফটির জন্য বিদেশ থেকে যত মালামাল আসবে, সেগুলো ট্যাক্স ফ্রি থাকবে। এটা দেশের মানুষের জন্য করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা যখন বিভিন্ন সংস্থার কাছে যাচ্ছি, তখন তারা সেই কাজটি করছেন না।’ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ নামে সাততলা ভবনের ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছেন। মৃতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী এবং আট জন শিশু‌।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়