৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

গাজায় ত্রাণ ফেলবে মার্কিন সামরিক বিমান: বাইডেন

প্রতিদিনের ডেস্ক
ইসরায়েলের নির্মম অবরোধ ও নির্বিচার হামলার মধ্যে দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা গাজাবাসীর জন্য বিমান থেকে খাদ্য ও জরুরি ত্রাণ সামগ্রী ফেলবে মার্কিন সামরিক বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন। খবর: রয়টার্স ও টাইমস অব ইসরায়েলের। গাজা সিটির কাছে ত্রাণের জন্য ভিড় করা শতাধিক ফিলিস্তিনির ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার পরদিন বাইডেন এ পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। বাইডেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু করবে। কিন্তু বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি। তবে ফ্রান্স ও জর্ডানসহ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু করেছে। বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের আরও বেশি কিছু করা দরকার। যুক্তরাষ্ট্র আরও কিছু করবে। গাজায় ত্রাণের প্রবাহ কোনোভাবেই পর্যাপ্ত নয়। গাজায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সরবরাহ করতে কোনো সামুদ্রিক করিডোর সম্ভব কি-না, যুক্তরাষ্ট্র তা খুঁজে দেখছে বলে জানান তিনি। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার থেকেই গাজায় তাদের ত্রাণ ফেলা শুরু হতে পারে। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কারবি জানিয়েছেন, প্রথম ফেলা ত্রাণগুলোতে ‘তৈরি খাবার’ থাকবে।জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় দপ্তরের ভাষ্য অনুযায়ী, গাজা ভুখণ্ডের অন্তত ৫ লাখ ৭৬ হাজার বাসিন্দা দুর্ভিক্ষ থেকে আর এক পা দূরে আছে। তীব্র খাদ্য সংকটে থাকা গাজার ফিলিস্তিনিরা পশুখাদ্য ও এমনকী ক্যাকটাস খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে শিশুরা তীব্র অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় ভুগে মারা যাচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এমন মানবিক সংকট সত্ত্বেও গাজায় ত্রাণ নিয়ে যেতে তাদের ‘অপ্রতিরোধ্য বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে’। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে গাজা সিটির কাছে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা একটি ত্রাণ বহরের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১১২ জন নিহত হয়। ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় পাঁচ মাসে ফিলিস্তিনি ছিটমহলটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পানি, খাবার ও নিরাপদ স্থানের অভাবে গাজাবাসী ক্রমাগত মরিয়া পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়