উৎপল মণ্ডল, শ্যামনগর
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অবাধে চলছে লাইসেন্সবিহীন গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডার বিক্রি। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দেশের বিভিন্ন যায়গায় বড় ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা শোনা যায়,হয় বহু প্রানহানি,ইতিমধ্যে রাজধানীর ঢাকার বেইলি রোডের অসংখ্য মানুষের মৃত্যুতে শহরের আতঙ্ক এখন গ্রামে। ৪ই মার্চ(সোমবার)উপজেলা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাননির্ণয় ছাড়াই এসব সিলিন্ডার গ্রামীণ জনপদের মানুষ ব্যবহার করছে। কোনো ধরনের অনুমোদন না থাকলেও শ্যামনগর পৌরসভাসহ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের হাট-বাজার ও রাস্তার পাশের দোকানে বিক্রি হচ্ছে এসব গ্যাস সিলিন্ডার।প্রচণ্ড রোদে রাস্তার পাশে অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রাখা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। ফলে যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকারি নীতিমালা অনুসারে ট্রেড লাইসেন্স, বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সনদ ও অগ্নিনির্বাপক কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া এসব গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রির অনুমোদন না থাকলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেকেই তা মানছেন না। শ্যামনগর উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে এই গ্যাস এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলেও মানুষ জানে না সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারের নিয়মনীতি। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করেই চলছে ব্যবসা। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এবং অগ্নিনিরোধক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থাই নেই।
কোনো আইনের তোয়াক্কা না করে চা দোকান থেকে ফার্নিচার ও মুদি দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাসের বোতল। বর্তমান সময়ে শ্যামনগর উপজেলায় সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এ সিলিন্ডার গ্যাস উপজেলা সদরসহ উপজেলার সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে অরক্ষিত অবস্থায়। নুরনগর বাজারের স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ী মোঃ কামরুল হাসান বলেন, সাতক্ষীরা ও শ্যামনগরের ডিলাররা বিভিন্ন কোম্পানির (বসুন্ধরা, যমুনা,নাভানা, পেট্রোম্যাক্স, সেনা, ওমারা, বিএম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডার আমাদের কাছে বিক্রয় করেন। আমরা তাদের থেকে কিনে কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করি। শ্যামনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা আলী আকবর জানান, সড়কের ধারে সাজিয়ে রেখে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা খুবই বিপজ্জনক। এ ছাড়া যত্রতত্র দাহ্য পদার্থ বিক্রির কারণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। ইদানীং মানুষ এলপি গ্যাসের ব্যবহারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। তারা প্রত্যেক দোকানিকে নিয়ম-নীতি মেনে ফায়ার লাইসেন্স করে দোকান পরিচালনার তাগিদ দেওয়াসহ নিয়মিত মনিটরিং করছেন।