প্রতিদিনের ডেস্ক:
দেশে সারাহ ইসলামের মাধ্যমে শুরু হয়েছে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট। এরপর দ্বিতীয় ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেন মাসুম। এই ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট মানুষকে আরও সংযুক্ত করতে ও এর অগ্রগতিতে বিষয়টি সংসদে উপস্থাপন করতে চায় চিত্রনায়ক ও ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। সোমবার (৪ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে আয়োজিত গোল টেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্টদের এসব বিষয়ে সব তথ্য উপাত্ত দেওয়া হয়, আমি ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট নিয়ে সংসদে কথা বলবো। সবার হয়ে সংসদে কাজ করতে পারা অনেক বেশি ভালো লাগবে। ফেরদৌস বলেন, আমরা সবাই পৃথিবী থেকে চলে যাবো। তবে নিজের কোনো অঙ্গ দিয়ে যদি মানুষের মাঝে বেঁচে থাকা যায় তা অনেক বড় পাওয়া। তিনি বলেন, আজকে সব ধর্মের মানুষই কথা বলেছেন। তাদের কথায় বোঝা যায় কোনো ধর্মে যেহেতু দেহদানে বাধা দেয় না। তাই সবাই দিতে পারে এটি। তারপর একটি দল থাকবে যারা এই বিষয়টাকে বাধা দেবে। এটা সবসময় থাকে। অনুষ্ঠানে প্রথম ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্টে অঙ্গ দেওয়া সারাহর মা শবনম সুলতানা বলেন, আমার সন্তান যে মানুষের উপকারে ভূমিকা রেখেছে তা আমাকে আনন্দিত করে। সারাহ সবার মাঝে বেঁচে থাকবে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষকে যেন চিকিৎসার জন্য বাইরের কোনো দেশে যেতে না হয়ে তার ব্যবস্থা প্রয়োজন। দেশের দ্বিতীয় ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টে দেহদান করেন মাসুম। তার স্ত্রী তানিয়া স্বামীর জন্য সবার কাছে দোওয়া চেয়েছেন। তবে আবেগতাড়িত হয়ে যাওয়ায় এর বেশি কিছু বলেননি তিনি। সারাহর দান করা চোখে আলো ফিরে পাওয়া মো. সুজন বলেন, আমার দুই চোখের কর্নিয়ায় সমস্যা ছিল বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিচ্ছিলাম। বিএসএমএমইউ থেকে জানিয়েছিল কর্নিয়া পেয়ে আমাকে কল দেবে। এরপর কল দিয়ে কর্নিয়া প্রাপ্তির কথা জানায়। পরে সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে আমার কর্নিয়া স্থাপন হয়। এখন আমি দুই চোখেই ভালো দেখতে পাই। সারাহ ইসলামের চোখে আমি চোখে আলো ফিরে পেয়েছি। তার জন্য অনেক দোয়া করি আমি।