প্রতিদিনের ডেস্ক
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সম্পর্কিত মোটরযান নিবন্ধন, ফিটনেস সনদ ইস্যু, রুট পারমিট ইস্যু ও নবায়নে ঘুস প্রদানসহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) উপস্থাপিত প্রতিবেদনকে ‘অনুমাননির্ভর’ বলে মন্তব্য করেছে বিআরটিএ।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে বিআরটিএর বনানী কার্যালয়ে টিআইবির প্রতিবেদনের প্রতিবাদ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার এ মন্তব্য করেন।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, টিআইবির প্রতিবেদনে বিআরটিএসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুমাননির্ভর তথ্য, যা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টিসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, এরূপ প্রতিবেদন প্রকাশে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। তবে টিআইবি যে গঠনমূলক ও বাস্তবধর্মী সুপারিশগুলো করেছে, তা আমরা আমলে নিয়ে কাজ করবো।এমন উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রকাশের বিরুদ্ধে বিআরটিএ তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে বলেও জানান তিনি।
বিআরটিএকে শতভাগ ঘুসমুক্ত প্রতিষ্ঠান বলা যায় কি না- এ প্রশ্নের জবাবে নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, এখানে শতভাগ ঘুসমুক্ত করার কোনো বিষয় নেই। তবে ঘুস লেনদেন একেবারেই হয় না, তা হান্ড্রেড পার্সেন্ট হলফ করে কেউ বলতে পারবে না। যদি হয়ে থাকে, সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা তো আছে। পৃথিবীর সব দেশেই অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আছে।
গতকাল মঙ্গলবার টিআইবি ‘ব্যক্তিমালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গবেষণায় এসেছে, বাস-মিনিবাসের মালিকের কাছ থেকে বিআরটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বছরে ৯০০ কোটি টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে আদায় করেন। সব মিলিয়ে বাস-মিনিবাসের মালিকেরা চাঁদা ও ঘুস হিসেবে বিভিন্ন পক্ষকে বছরে প্রায় এক হাজার ৬০ কোটি টাকা দেয়।