অবশেষে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের নামে ধর্ষণ মামলা

0
12

সুমন ব্রহ্ম, ডুমুরিয়া
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও হাসপাতাল চত্বর থেকে অপহরণের উল্লেখ করে বুধবার খুলনা নারী ও শিশু নিযাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এ অভিযোগ দাখিল করা হলে বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোসাম্মৎ দিলরুবা সুলতানা মামলাটি এজাহার হিসেবে নিতে ডুমুরিয়া থানাকে নির্দেশ দেন। খুলনায় এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও হাসপাতাল চত্বর থেকে অপহরণের অভিযোগে অবশেষে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ জনকে।
বুধবার দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নিযাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এ ওই সংক্রান্ত অভিযোগ দাখিল করা হলে বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোসাম্মৎ দিলরুবা সুলতানা মামলাটি এজাহার হিসেবে নিতে ডুমুরিয়া থানাকে নির্দেশ দেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই গাজী তৌহিদুজ্জামান (রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান) ও তার ভাই গাজী আব্দুল হক, আল আমিন গাজী, আক্তারুল আলম (সুমন), সাদ্দাম গাজী ও মো. ইমরান হোসাইন। মামলাটি করেছেন ওই তরুণীর ভাই পরিচয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা ব্যক্তি। মামলার আইনজীবী ও বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আজ (বুধবার) সকালের দিকে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা মামলার এজাহার হিসেবে নেয়ার জন্য ডুমুরিয়া থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। ডুমুরিয়া থানার ওসি ঘটনা তদন্ত করে ওই সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবেন।’ আদালতে দেয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। ২৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে এজাজ আহমেদ ওই তরুণীকে শাহপুর বাজারে অবস্থিত তার নিজস্ব কাযালয়ে ধর্ষণ করে তাড়িয়ে দেন। পরে তরুণী ঘটনাটি তার দূরসম্পর্কের খালাতো ভাইকে জানালে তিনি তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তরুণীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য ওয়ার-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠায়। পরদিন ওসিসির সামনে থেকে আসামি তৌহিদুজ্জামাসহ ১০/১৫ জন আসামি তরুণী ও তার মাকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই তরুণী ও তার মাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপহরণ করা হয়নি মর্মে স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য সোনাডাঙ্গা থানায় নেয়া হয়। পরে আবার সেখান থেকে মাইক্রোবাসে করে তাদের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, বিষয়টি খুলনাসহ সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলেও সোনাডাঙ্গা ও ডুমুরিয়া থানা পুলিশ ওই তরুণী ও তার মাকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের উদ্ধারের জন্য ডুমুরিয়া থানায় মামলা করতে গেলে থানা থেকে মামলা নেয়া হয়নি। এ কারণে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, জানুয়ারি ওই ঘটনার পর প্রতিদিনের কথায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।